সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মোজাম্বিকে ঝড়ে ১ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, মার্চ ১৯, ২০১৯
একুশে সংবাদ : মোজাম্বিকে গত সপ্তাহে একটি সাইক্লোনের আঘাতে এক হাজারের বেশি লোক মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে প্রতিবেশী জিম্বাবুয়েতে বেশ কয়েকজন মারা গেছে ও ২শ’ জনের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। বৃহস্পতিবার মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলীয় বেইরা নগরীতে সাইক্লোন ইদাই পূর্ণ শক্তিতে আঘাত হানে। এর প্রভাবে ঝরো হাওয়া ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পথঘাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ও বহু বাড়িঘর স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে। মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নিউসি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ৮৪ জনের মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা প্রকৃতই একটি মানবিক দুর্যোগ।’ফিলিপ বলেন, ‘১ লাখের বেশি লোক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষ গাছে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সাহায্যের আশায় অপেক্ষা করছেন। আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) জানিয়েছে, ‘বেইরার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, নগরী ও এর আশপাশের ৯০ শতাংশ স্থান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এখানে প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার লোকের বাস। আইএফআরসি’র মুখপাত্র জামেই লেজুয়েউর বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়ে প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়েছে এবং রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে। কোন কোন দুর্গত এলাকায় ঢোকা যাচ্ছে না। জামেই বলেন, রোববার একটি বড় বাধ ধসে পড়েছে এবং বেইরায় যাওয়ার একটি রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোফালা প্রদেশের গভর্নর অ্যালবার্টো মোন্ডল্যান সতর্ক করে বলেছেন যে, ‘সাইক্লোনের চেয়ে এখন আমাদের জন্য বড় যে ঝুঁকিটি রয়েছে তা হলো বন্যা। কারণ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যহত আছে। এনজিও সমন্বয়ক এমা বিটি বলেন, ‘মোজাম্বিকে আমরা এর আগে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্র্যোগ দেখিনি। তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়ে কয়েকটি বাধ ধসে পড়েছে। পানি পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অন্যান্যগুলোর ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। তথ্য মন্ত্রণায় জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশ জিম্বাবুয়েতে ইডাইয়ের আঘাতে ৯৮ জন মারা গেছে এবং অন্তত ২১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। জিম্বাবুয়ের পর্যটন ও অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জুয়েল বিগি মাতিজা বলেন, ‘এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঝড়ের আঘাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় জেলা চিমানাইমানির সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় এলাকাটির বহু বাড়িঘর ও সেতু ভেসে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো পৌঁছানো যায়নি।একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে ভূমিধসে দুই ছাত্র ও এক কর্মচারী নিহত হয়েছে। রোববার সৈন্যরা প্রায় ২শ ছাত্র, শিক্ষাক ও কর্মচারীকে উদ্ধার করে। স্কুলটি চিমানিমানিতে অবস্থিত। চিমানিমানির আইনপ্রণেতা জোশুয়া সাকো বলেন, ‘এই ঘটনায় ১৫০ থেকে ২শ’ ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমার্সন মানাঙ্গাওয়া আবুধাবিতে তার সফর সংক্ষিপ্ত করে সোমবার দেশে ফিরে আসেন।-বাসস একুশে সংবাদ // এস.ব,স // ১৯.০৩.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1