সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির ছোট জাটকা ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, মার্চ ১৬, ২০১৯
একুশে সংবাদ : জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ইলিশকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই পণ্য) উল্লেখ করে বলেন, ‘ইলিশ আহরণে সরাসরি উপকূলীয় মৎস্যজীবী প্রায় ৫ লাখ এবং পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, রপ্তানি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২৫ লাখ লোক জড়িত রয়েছে। নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটানা ৬ মাস ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চির ছোট জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পৃথিবীর আরো ১৩টি দেশে ইলিশ পাওয়া গেলেও আমাদের সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ইলিশের রয়েছে বিরাট অবদান। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ শতাংশ। তাই ইলিশ আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’ ইলিশ সম্পদ রক্ষা এবং এর ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় নদী, মাছঘাট, মৎস্যআড়ত ও বাজারে অভিযানসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, এ সময়ে জেলেরা যাতে ক্ষুধায় কষ্ট না পায়, সেজন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতিদরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পদ্মা, মেঘনা, আন্ধারমানিক ও তেঁতুলিয়াসহ অন্যান্য উপকূলীয় নদীতে জাটকার বিচরণক্ষেত্রে ইলিশের অভয়াশ্রম স্থাপন, মা-ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ২২দিন (আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত চাঁদের পূর্ণিমার ৪দিন আগে, ১৭দিন পরে ও পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়) প্রজনন এলাকাসহ দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা এবং জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, উপকূলীয় এলাকায় জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে ‘সম্মিলিত বিশেষ অভিযান’ পরিচালনা ছাড়াও প্রতি বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে। তিনি জানান বিগত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার মে. টন সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার মে. টনে উন্নীত হয়েছে। মা-ইলিশ রক্ষা পাচ্ছে এবং নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারছে বলেই মেঘনা হতে ‘জাটকা’ আজ পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, সুরমায় বিস্তৃতি লাভ করেছে।পদ্মা নদীর দুই পাড়ের জেলাসমূহ যেমন-ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং যমুনা নদীর তীরবর্তী জেলা সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। জাটকা ও মা-ইলিশ রক্ষায় চলমান কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা গেলে সারা বছর ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জাটকা রক্ষার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বছরও ১৬-২২ মার্চ পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯’ পালনে সর্বস্তরের জনগণের সহায়তা কামনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টি জেলে পরিবারের জন্য ৪০ কেজি হারে মোট ৩৯ হাজার ৭৮৮ মে. টন চাল বরাদ্দ প্রদান করেছে। এ বছর উপকূলীয় জেলা ছাড়াও জাটকার সম্প্রসারিত নদী তীরবর্তী ১৩টি জেলার ৫১ উপজেলায় মোট ৪৭ হাজার ৪৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ২০০৮-০৯ হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ১১ বছরে মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫২ মে. টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হলেও ২০০৪-০৫ হতে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত এ সহায়তার পরিমাণ ছিল মোট ৬ হাজার ৯০৬ মে. টন।   একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ১৬.০৩.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1