সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলেই টেলিকম সেবায় জনগণ আরও সুফল পাবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, মার্চ ১৩, ২০১৯
একুশে সংবাদ : ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন টেলিযোগাযোগ খাতে নিয়ন্ত্রণকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিআরসি‘র কাজ হচ্ছে শৃঙ্গলা বিধান করা। এই ক্ষেত্রে এই মূহুর্তে বিটিআরসির সামনে বড় কোন চ্যালেঞ্জ নেই। যেটুকু কর্মপরিকল্পনা এ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা সঠিক বাস্তবায়ন হলেই টেলিকম সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ সমাধান করতে পারবো। মন্ত্রী আজ ঢাকায় আগারগাঁয়ে বিটিআরসি‘র জন্য প্রায় ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে এক একর জমির ওপর ১২ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব একটা বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতার জায়গায় পৌছেছে এবং গত দশ বছরে প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ বিদেশীদের সাহায্য করার মতো সামর্থ অর্জন করেছে।দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করাটাও চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও বিটিআরসিকে নিয়ে আমরা সুন্দরভাবে কাজ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বরে প্রদত্ত ঘোষণার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও গত দশবছরে ডিজিটাল বিপ্লবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রায় ষোল কোটি মোবাইল ফোন সংযুক্তি দিয়েছে। ২০০৮ সালে এ হার ছিল ৪ কোটি ৪৬ লাখ। বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ১২শত জিবিপিএস। ২০০৮ সালে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো মাত্র সাত দশমিক ৫ জিবিপিএস। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ খাতের সংশ্লিষ্টতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কানেকটিভেটি। আমার গ্রাম আমার শহরের অর্থ ডিজিটাল গ্রাম। কানেকটিভিটি এবং প্রযুক্তি গ্রামের ঘরে ঘরে পৌছাতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের দেয়া সকল সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরও তৎপর হতে হবে। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস,বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো: জহুরুল হক এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী গোলাম নাসির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করে। গত বছর এপ্রিলে একনেক কর্তৃক বিটিআরসি ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে। গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মধ্যে ২০২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। মন্ত্রী ভিত্তিফলক উন্মোচন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ১৩.০৩.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1