সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিজনেস প্ল্যান প্রয়োজন :মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
একুশে সংবাদ : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ই - বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রয়োজন। যাতে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়। ডিজিটালাইজেশনের দ্রত বিকাশের ফলে দিনে দিনে ই-বর্জ্য মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল পণ্যের ব্যবহার আরও বাড়বে। পুরনো প্রযুক্তি বাদ দিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে যেতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে গত ১০বছরে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার যে পরিমানে বেড়েছে তা গত ৩০ বছরের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ এখন ইলেক্ট্রনিক পণ্য আমদানিই করছে না, উৎপাদনও করছে। এর ফলেও বর্জ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্লের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ই-বর্জ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য সব কিছু করবে। তিনি সরকারের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ট্রেডবডি, পণ্য উৎপাদনকারিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহবান জানান। মন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি) এবং টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আলোচকদের পক্ষে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসেটিভ দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ট্যাক্স হলিডে চাইতে পারেন, এক্সপোর্ট জোন বা হাইটেক পার্ক থেকে বিশেষ সুবিধা নিতে পারেন। তবে আমরা একটি বিজনেস প্ল্যান দাঁড় করিয়ে দিতে পারি কিনা- যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কালেক্ট হওয়ার মতো একটি পদ্ধতি দাঁড়ায়। কোনো ভাঙারি দোকানদার যদি একটি জিনিস একশ’ টাকায় বিক্রি করতে পারে তাহলে সেটি ৫০ টাকায় কিনতে পারবে। তার জন্য ইনটেনসিভ লাগবে না। এটা একটা সহজ সমাধান। যারা রিসাইক্লিং করেন তাদের পণ্যের তালিকা তৈরির আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ওই পণ্যগুলো কী দামে কিনতে পারেন তারও তালিকা করেন। যে সরবরাহ করবে তার জন্য এবং টোকাইয়ের জন্য মার্জিন দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাহলে সরাসরি ইনটেনসিভ প্রয়োজন হবে না। বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) অর্থ এই খাতে ব্যবহারের দাবি প্রসঙ্গে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই ফান্ডের টাকা এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবো কিনা- সেটি পরীক্ষা করে দেখবো। তিনি জানান, ই-বর্জ্য নীতিমালা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে। এটি তরান্বিত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল দুর্গম এলাকায় টেলিকম সেবা দেওয়ার জন্য বলা আছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে এই তহবিলের আওতায় আনা প্রচলিত আইনে সম্ভব নয়।এজন্য এই আইনের সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। টিআরএনবি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক, রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রওশন মমতা , বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সভাপতি মো. রুহুল আলম আল মাহবুব বক্তৃতা করেন। টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে টেলিকম খাতের সংশ্লিষ্টরাও বক্তব্য রাখেন। একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ০২.০২.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1