সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঈদের ছুটিতে সাজেক ভ্রমণ

প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, জুন ৪, ২০১৮
একুশে সংবাদ : ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সাজেক ।সাজেকের কথা বলতে গেলে মেঘের কোন জুরি নেই ।যারা মেঘকে ভালবাসে, মেঘে ভিজতে ভালবাসে তাদের কাছে সাজেক স্বপ্নের মত ।সাজেক যেন প্রকৃতির এক অন্য রকম ভালো লাগা । সাজেকের উঁচু পাহার আর রাস্তাগুলা দেখে চোখ জুরিয়ে যাবে যে কোন মানুষের । সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা , দক্ষিনে রাঙামাটির লংগদু , পূর্বে ভারতের মিজোরাম , পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ি থেকে। সাজেক সারাবছর ই যাওয়া যায়। আর সাজেকে পাহাড়ধস বা, রাস্তা ধস এরকম কোন ঝুকি নেই। তাই নিশ্চিতেই সাজেক যেতে পারেন। বর্ষায় সাজেকের রুপ যেনো শতগুনে বেড়ে যায়। পাহাড়ের কোলে মেঘের খেলা চলে রাত ভর। সারাক্ষনই পাহাড় আর মেঘের মিতালি। আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই, ষোল কলা পূর্ণ। হাজারফুট উচুতে উঠে যখন মেঘের মাঝে হারিয়ে যাবেন মনে হবে অন্য এক পৃথিবী। সাজেকে সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্তের কোন তুলনা হয় না। হারিয়ে যাবেন অন্য রকম এক প্রশান্তিতে। কিভাবে যাবেন? যেকোন বাস স্ট্যান্ড : ফকিরাপুল, ধানমন্ডি ৩২ নং, সায়দাবাদ থেকে যেতে পারবেন। বাস ভাড়া নন এসি ৫২০ টাকা। চান্দের গাড়ি খাগড়াছড়ি থেকে যাবে রাতে থাকবে এবং পরদিন খাগড়াছড়ি এনে দিবে খরচ ৭১০০ টাকা এবং ড্রাইভারদের ২ জনের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে অথবা, অতিরিক্ত ১০০০ টাকা দিতে হবে। আর যদি খাগড়াছড়ি এসে আরো বাকি তিনটা স্পট ঝুলন্ত ব্রীজ, রিসাং ঝর্না, আলুটিলা গুহা দেখতে যান অতিরিক্ত আরো ২০০০ টাকা দিতে হবে। কোথায় থাকবেন? আর্মির বিল্ডিং গুলোতে থাকতে খরচ ৪০০০-৮০০০ টাকা। যারা এগুলাতে থাকতে চান 01882009500 যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়াও সাজেকে থাকার জন্য এখন অনেক ক্লাসি কর্টেজ আছে। যেমনঃ মেঘপুঞ্জি ফোন নং 01911-722007, জুমঘর 01884-208060, মেঘমাচাং 01822-168877। এই তিনটা কর্টেজ সবার প্রথম পছন্দের সাড়িতে রয়েছে । এ কর্টেজ গুলার ভাড়া পড়বে ২৫০০-৩০০০ টাকা প্রতিরাত। এগুলাতে রুম না পেলে এর পর আসে সাজেক লুসাই কটেজ, আলো রিসোর্ট, রক প্যারাডাইস ইত্যাদি অনেক কটেজ। ব্যাচেলর’রা কম খরচে থাকতে চাইলে রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজে থাকতে পারেন, সামনে ফাকা স্পেস ও আছে। প্রতি রাত ১৫০ টাকা ভাড়া নিবে জন প্রতি। কোথায় খাবেন? এই পার্টটা টা আমার সবচেয়ে পছন্দের পার্ট।সাজেকে খাবার সংকট আছে তাই আগে থেকেই যাওয়ার আগের দিনই যেখানে থাকবেন তাদের খাবার অর্ডার করে রাখবেন। দুপুরে যা খেতে পারেনঃ জুমের ভাত, পাহাড়ি মুরগীর মাংস, ভর্তা ২-৪ রকমের, পাহাড়ি বিভিন্ন শাক সব্জী, ডাল ইত্যাদি। খাবারের দাম ওখানে বেশি পার প্লেট ১৮০-২৫০ পর্যন্ত হতে পারে। আগে থেকে দরদাম করে নেওয়াটা ভালো। রাতের খাবার অবশ্যই পরোটা, বার বি কিউ এবং শোবজি বেস্ট ম্যানু হতে পারে । পরদিন খাগড়াছড়ি ফিরে খাং মং অথবা, সিস্টেম রেস্টুরেন্ট ডিনার করতে পারেন, তবে সিস্টেম আর খাং মং একই খাবার কিন্তু সিস্টেমে দাম ডাবল প্রায় তাই খাং মং এ খেতে পারেন। বেশি লোক হলে আগেই খাবার অর্ডার করে রাখবেন। ফোন নং 01866 933404 । খাং ময়ে খেতে পারেন বাশ কুড়ুল সব্জি, ব্যাম্বো চিকেন (বাশের মধ্যে রান্না করা মুরগি), লইট্টা ফ্রাই, হাসের মাংস, ৪-৫ রকমের শোবজি, লাউ চিংড়ি, ভর্তা ভাজি ইত্যাদি নানা আইটেম। একুশে সংবাদ // এস.র.ন // ০৪.০৬.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1