সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুমিল্লায় "বন্দুকযুদ্ধে" নিহত ২

প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, মে ২২, ২০১৮
একুশে সংবাদ : কুমিল্লায় গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো এক মাদক ব্যবসায়ী। নিহতরা হলেন কুমিল্লার শুভপুরের মোহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে পিয়ার মিয়া (২৪) এবং কুমিল্লার শুভপুরের আবদুল মান্নানের ছেলে শরিফ (২৬)। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার সদর উপজেলার অরণ্যপুর বড় দিঘির পাড়ে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহতরা জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের এক পরিদর্শকসহ চারজন আহত হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, গুলি, পাজেরো গাড়ি ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও কোতোয়ালি পুলিশের ওসি আবু ছালাম মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে শহরের শুভপুর এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী পিয়ার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে এক শ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পুলিশ পিয়ার মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে একটি পাজেরো জিপে করে মাদকের একটি বড় চালান ঢাকায় পাঠানো হবে। পিয়ার মিয়ার তথ্যমতে পুলিশ অভিযান শুরু করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অরণ্যপুরের বড়পুকুরের পশ্চিমপাড়ে তল্লাশিকালে একটি পাজেরো গাড়ি দেখতে পায়। পিয়ার মিয়া তা শনাক্ত করলে পাজেরো গাড়িটি থামাতে সংকেত দেওয়া হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা গাড়ি থামিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৫২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে এ সময় ঘটনাস্থলে পিয়ার আলীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন বলেন, পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেইসঙ্গে একটি পাজেরো জিপ, একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, ৫০০ বোতল ফেনসিডিল, ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত গুলিবিদ্ধ চাঁদপুরের শাহরাস্তির আজিজ নগরের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সেলিমকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের আহতরা হলেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক রূপ কুমার সরকার, এসআই শাহ আলম, গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই শাহীনূর ও কোতোয়ালি মডেল থানার কনেস্টবল তানভির। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন বলেন, নিহত পিয়ার আলীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ে বিরোধের জেরে একটি হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। আর শরিফের বিরুদ্ধে রয়েছে পাঁচটি মামলা। একুশে সংবাদ // এস.ইফা // ২২.০৫.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1