সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হুমায়ুন কবীর পরিচালিত ছবি আলেয়া আটকালো সেন্সর বোর্ড

প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
একুশে সংবাদ : "আলেয়া" চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে কিছু শব্দ যেমন, ত্রিশূল গাঁথা, কাফের, আমেদাবাদ, গুজরাট ও জয় শ্রীরাম এই পাঁচটি শব্দই সেন্সর বোর্ডের আপত্তিজনক মনে করেছেন এবং সাইলেন্ট করে দিলে তবেই মিলবে ছাড়পত্র। সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দিয়েছেন পরিচালক ড. হুমায়ুন কবীরকে।   দক্ষ প্রশাসক ও সমাজ সচেতন পুলিশ আধিকারিক ড. হুমায়ুন কবীর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত রায়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন। মেধাবী ছাত্র হিসেবে তাঁর সুনাম আছে গোটা রাজ্যে। ড. হুমায়ুন কবীর উদ্ভিদবিদ্যায় এমএসসি করেছেন।   উদ্ভিদবিদ্যায় নিয়ে এমএসসি'র ফাইনাল পরীক্ষায় দারুণ ফল করেছিলেন (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম)। তিনি ভাল ফল করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। হুমায়ুন কবীর পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কয়েকমাস শিক্ষকতার চাকরিও তিনি করেছেন। ১৯৯০ সালে ড. হুমায়ুন কবীর পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়ে পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন।   রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অতি দক্ষতার সহিত দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ গুরুদায়িত্বপূর্ণ পদে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ডিআইজি পদে কর্মরত। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দার্জিলিংকে শান্ত করতে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে ডিআইজি পদে পাঠিয়েছিলেন।   ২০০১-২০০২ সালে সংযুক্ত জাতিপুঞ্জের হয়ে বসনিয়া-হারজিগোভিনায় পিস কিপিং ফোর্স হিসাবেও কাজ করেছেন।   এই মুহূর্তে তিনি বাংলা সাহিত্যজগতে একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিকও বটে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ 'নখের দাগ' প্রকাশিত হওয়ার আগে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল 'সানন্দা' পত্রিকায়। এছাড়াও 'আলেয়া' নামে গল্পগ্রন্থ ইতিমধ্যে পাঠক দরবারে বিশেষ দাগ কেটেছিল। কয়েকমাস ধরে ড. কবীর-এর লেখা উপন্যাস 'দেশ' পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসটির নাম 'ফাইনাল গাজি' যা পাঠকদের মুগ্ধ করেছিল।   'দেশ' পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশের সময় প্রতিসংখ্যায় ছিল টানটান উত্তেজনা ও বিশেষ মোড়। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখছেন। বর্তমানে তিনি কয়েকটি উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছেন। আগামীতে বই হয়ে প্রকাশিত হবে।   কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্য স্ক্রিপ্ট রেডি করেছেন। আরও কিছু চিত্রনাট্য লেখাতেও হাত দিয়েছেন। আগামীতে সামাজিক কল্যাণে তিনি আরও অনেক ছবি পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রতিবেদকে। তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রবন্ধ ও গল্প লিখছেন। পাঠক সমাজ সমৃদ্ধ হচ্ছে তাঁর লেখা পড়ে।   ড. হুুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র "আলেয়া"র শ্যুটিং শেষ হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। ''আলেয়া'' মানব সমাজে গভীর ভাবে দাগ কাটবেই। এই চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি এই আশা করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান 'শত কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই ছবির শ্যুটিংটা সেরে ফেললাম। কী জানেন, আমরা সবাই সমাজবদ্ধ জীব। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। সচেতন মানুষ হিসেবে বলতে পারি আজকের পারিপার্শ্বিক অবস্থান খুব একটা সুখের নয়। কোথাও একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমার ছবির বক্তব্য বাল্যবিবাহ আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।'     তিনি আরও জানালেন, 'আসলে প্রিন্টের চেয়ে ভিস্যুয়াল এফেক্ট বেশি। যে কথাটা লিখলে হত সেটা ক্যামেরায় বললে আরও আরও বেশি অর্থবহ। সেই জন্যই ছবিটা শেষমেশ হল।' এই 'আলেয়া' একটি থ্রিলার ছবি। ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা সরকার, সায়নী ঘোষ, অংকিতা, তনুশ্রী চক্রবর্তী, বাংলাদেশের অভিনেতা আমন রেজা। অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, গৌতম হালদার, শেখর সমাদ্দার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, সৌম্যজিৎ মজুমদার এবং বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ড. হুমায়ুন কবীর ও তাঁর স্ত্রী অন্দিতা কবীর। আরও অনেকেই এই ছবিতে কাজ করেছেন।       একুশে সংবাদ // এস.ফারুক // ২৮.০৪.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1