শ্রীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি রাস্তার কাজ চলছে,সেই রাস্তা গুলোতে নিম্নমানের সামগ্রী ইট,বালু,সিমেন্ট দিয়ে কাজ করছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ উঠেছে।
শ্রীপুর থেকে কাওরাইদ রাস্তা,এমসিবাড়ি শিশু পল্লী থেকে সাত খামাইর রাস্তা,বরমী থেকে নয়নপুর রাস্তা,নয়নপুর থেকে মেডিকেল মোড় এলাকার পাকা রাস্তা নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত এমসিবাড়ি শিশু পল্লী হতে সাত খামাইর পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মানের কাজে নিয়ম বহির্ভুত নিম্নমানের ইট, বালু, খোয়া, ও বিটুমিন (পিচ) দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছেনা। যার ফলে সড়কের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তার কবলে পড়ছে অত্র এলাকার জনগন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শিশু পল্লী হতে সাত খামাইর ও বরমী নয়নপুর সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। যে ভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে তিন মাস চলার পর রাস্তাটি ভেঙ্গে পিচ উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাবাসী রাস্তার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে বাধা দিলে ঠিকাদার ও তার কর্মীরা বলে এ সময় ভাল ইট পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই কাজে বাধা দিলে রাস্তা এ গ্রাম হতে কেটে অন্য জায়গায় করব।
বরমী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল বলেন, অত্র এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রাস্তাটি যাতে ভাল মানের হয় সে জন্য ইঞ্জিনিয়ার সুজায়েত হোসেনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি, কন্টেকটার কে বার বার বলা হয়েছে এতেও কোন কাজ হয়নি।
তিনি আরো জানান, রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় এবং রাস্তার জমি থাকা সত্যেও ঠিকাদার রাস্তা ১৯ ফুট করার কথা থাকলেও অনেক স্থানে ১৮ ফুট ও তার কম করা হচ্ছে। সিরাকিক্স ইট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও নিম্নমানের ইট বালু দিয়ে এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে।
নয়নপুর এলাকার আনোয়ার সরকার জানান, রাস্তা ১৯ফুট করার কথা রয়েছে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় একেক রকম কাজ হচ্ছে, প্যালাস্লাটিংয়ের অধিকাংশ জায়গায় ঠিক মতো রুলার না বসিয়ে ফিনিসিং দেয়া হচ্ছে। এলাকার মো. আলতাফ হোসেন জানান, আমাদের রাস্তা যাতে ভাল হয় সে জন্য আমার এক লক্ষ টাকার গাছ কর্তন করে নিজ দখলীয় জমি রাস্তার জন্য দিয়েছি তবুও রাস্তার কাজ ভাল হচ্ছে না। সাত খামাইর গ্রামের এক ভ্যান চালক বলেন, বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি ধ্বসে পড়বে।
শিশু পল্লী হতে সাত খামাইর এলাকাবাসী সাংবাদিকদের আরো জানান, এ রাস্তার কোন কোন জায়গায় দশ ফুটের কম, কোথাও দশ, আবার কোথাও তেরো কম করে কাজ করা হচ্ছে। কোন স্থানে মাটি ভরাট করতে হবে বলে মূল রাস্তা কমিয়ে দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার সুজায়েত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তার কোনো কোনো জায়গায় ১৮ ফুটের কম করার সুযোগ নেই,যদিও করে থাকে তা সরেজমিনে গিয়ে দেখে ওই স্থান ভেংগে সঠিক মাপে করে দেওয়া হবে। ইঞ্জিনিয়ার আরো বলেন, নির্মাণ সামগ্রী সবকিছু যাচাই বাছাই করে দেয়া হয়েছে। আর তারা আমার নিকট এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।
একুশে সংবাদ // এস. সানি // ২৪.০৩.২০১৮
বিভাগের আরো খবর
You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1