সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পলাশবাড়ীতে সজিনা চাষ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, মার্চ ৭, ২০১৮
গাইবান্ধা : গাছের ফুল ফল, পাতা সবজি হিসেবে অতি প্রিয় একটি খাবার। গাছটির আছে ভেষজ গুণ। এ গাছটি হচ্ছে সজিনা। বছরে একবার ফল হয়। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে এবছর কয়েক লাখ টাকার বেশি সজিনার ডাটা বিক্রি হবে। বারোমাস ফল ধরে এমন গাছটির নাম সজিনা। বসন্তের শুরুতে সজিনা গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। এবারও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। ফুলের পরিমাণ এতোটাই যে গাছের পাতা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে। রোগ বালাই কম হওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে মেহেরপুরে সজিনার চাষ করা হচ্ছে। এক সময় বাড়ির আশপাশের সীমানায় সজিনার গাছ লাগানো হতো। তবে সময় পরিক্রমায় এবং চাহিদা থাকায় কৃষকরা ফসলি জমিতে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজিনার চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সজিনা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় বলে জানা যায়। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২০/৩০ টাকায়।   ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে কচি সজিনার ডাটা খাওয়ার উপযোগী হয়। সাধারণত শাখা কেটে রোপণ করার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছ থেকে সজিনা সংগ্রহ করা যায়। ডাটার পাশাপাশি ফুল, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলি অসাধারণ। মৌসুমে নানা রোগব্যাধি নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি বৃদ্ধিতে সজিনা অত্যন্ত কার্যকর।   পলাশবাড়ী উপজেলার চেরেঙ্গা গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, আগে বাড়িতে খাবারের জন্য সজিনা লাগাতাম। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। এবার গাছে প্রচুর ফুল আসছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভাল সজিনা পাবো।   একই গ্রামের সৈয়াদ আলী জানান, আগে বাড়ির সীমানা নির্ধারণী স্থানে সজিনা গাছ লাগানো হলেও এখন আবাদি জমিতে ও জমির আইলে গাছ লাগানো হচ্ছে। সজিনা চাষে তেমন কোনো ব্যয় করতে হয় না এবং রোগ বালাই কম। তবে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর কীটনাশক স্প্র্রে করতে হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো হয়।   পলাশবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জানান, সজিনা চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাতৃগাছ সনাক্ত করা হয়েছে। মাতৃগাছ থেকে ডাল সংগ্রহ করে চারা রোপণ করা হবে। এছাড়া বারো মাসি সজিনা চারা উৎপাদনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।   তিনি আরোও জানান, এটি একটি লাভজনক ফসল এবং এটির ওষধি গুণাগুণও আছে। বিশেষত বসন্ত, জন্ডিস, মূত্র সংক্রান্ত সমস্যায় সজিনার নানা অংশ ব্যবহার করে আসছেন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। ছবি ০৩       একুশে সংবাদ // এস .ছাদেকুল // ০৭.০২.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1