সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কল্যাণী কাজী ,কবি সুবোধ সরকার ও ফারুক আহমেদকে সম্মানিত করল পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম

প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
একুশে সংবাদ : পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে শাড়ি, ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয় কল্যাণী কাজীকে। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সালিম সাহেব কল্যাণী কাজীর হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন।   পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পরিচালনায় পার্ক সার্কসে হয়ে গেল মহতি মহামিলন উৎসব। ১০ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি। ১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি ফারুক আহমেদকে সম্মাননা জানালেন, সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। কবি ফারুক আহমেদকে বিশেষ ভাবে এদিন সম্মানিত করে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের হয়ে কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী কবি ও উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদের হাতে ফুলের স্তবক ও মোমেন্ট তুলে দিয়ে সম্মানিত করলেন।   কবি ফারুক আহমেদ তাঁর বক্তব্যে কুর্নিশ জানালেন, এই মহতি মহামিলন উৎসবকে সার্থক করতে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সালিম সাহেব বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।   মহতি মহামিলন উৎসবের প্রয়াস এবছর মুগ্ধ করল সকলকেই। ফারুক আহমেদ অফুরন্ত ধন্যবাদ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সালিম সাহেবকে।   এদিন কবি ফারুক আহমেদ তাঁর রচিত দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন। তাঁর কবিতাপাঠে মুগ্ধ হলেন ৮ থেকে ৮০ আগত সকল দর্শকমণ্ডলী।   পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় আর এক বাংলার বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকারকে। গানের জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার ও কবি ফারুক আহমেদ।কবি সুবোধ সরকার বক্তব্যে বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিক মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছেন। আজ পশ্চিমবঙ্গ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে দুটি কুসুমে পরিণত হয়েছে, একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আবেগমথিত গলায় বলে ওঠেন কবি সুবোধ সরকার। কবিকে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে। কবি সুবোধ সরকারের হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন সাংসদ মোঃ নাদিমুল হক। মেলালেন তিনি মেলালেন। গানে-কবিতায়-কথায়। মাঝিমাল্লা, কৃষক, গরুর গাড়ি---গ্রাম-বাংলার মাটির ঘ্রাণ। আব্বাসউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুল আলিম। বাংলার লোকসংস্কৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ মিলে গেল পার্ক সার্কাস ময়দানের মিলন উৎসবে। তবে এই মিলন উৎসবের অবশ্যই সবচেয়ে বড় উপহার ছিলেন সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। ৮৩ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গাইলেন, তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার...। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কীভাবে 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম' বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে গেয়ে বেড়াতেন, সেসব স্মৃতিচারণ করলেন। সেই স্মৃতিচারণের পর হল নবীন ও প্রবীণের মিলন। এ ছাড়াও এই সঙ্গীত সন্ধ্যায় অসাধরণ গাইলেন, নূপুর কাজী, নাজমুল হক, পলাশ চৌধুরী। আর গজল গেয়ে মাতিয়ে দিলেন এস কে হাবিব ও শাকিল আনসারী। আর পরিচালনার পাশাপাশি কথার কারুকার্যে যোগ্য সঙ্গত করলেন শাকিল আনসারী। ১৭ তারিক মিলন উৎসবে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান শুরু হয় শিল্পী পলাশ চোধুরীর লেখা ও সুর করা একটি অসাধারন গান দিয়ে। "মা-মাটি-মানুষের গান" কথা ও সুরে শ্রোতেদের মুগ্ধ করে দেন তিনি। পলাশ চৌধুরীর গান দিয়েই সঙ্গীত অনুষ্ঠান শেষ হয়। একুশে সংবাদ // এস.ফারুক // ২০.০২.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1