সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উদার আকাশ প্রকাশনের সম্পাদক ফারুককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
বিশেষ প্রতিবেদক : পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলনের উৎসবে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হল কবি সুবোধ সরকার ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও কবি ফারুক আহমেদকে। মেলালেন তিনি মেলালেন। গানে-কবিতায়-কথায়। মাঝিমাল্লা, কৃষক, গরুর গাড়ি---গ্রাম-বাংলার মাটির ঘ্রাণ। আব্বাসউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুল আলিম। বাংলার লোকসংস্কৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ মিলে গেল পার্ক সার্কাস ময়দানের মিলন উৎসবে। দৈনিক "কলম"-এর সহযোগিতায় ও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের পরিচালনায় শনিবারের সন্ধ্যা সাক্ষী থাকল এক অভূতপূর্ব আনন্দঘন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের। দর্শকপূর্ণ মাহফিলে কলম পত্রিকার সম্পাদক ও এই অনুষ্ঠানের আয়োজক আহমদ হাসান ইমরান যখন উদ্বোধনী বক্তব্য দিতে উঠছেন, তখন ভরে উঠেছে শূন্য দর্শক আসনগুলি। ইমরান জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টান, মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের নিয়ে কল্যাণমুখী নানা কাজ করছে। তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যকে সকলের সামনে নিয়ে আসছে। এইসব পণ্য বিশ্ববাজারে উঠে আসুক বলে তিনি অভিমত জানান। এ দিনের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাওয়াইয়া, পল্লিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে আজ আমরা এক সুন্দর সন্ধ্যা উপভোগ করব। দুটি কুসুমের একটি কুসুম আজ ফুটে উঠবে এই সন্ধ্যায়। এই গানের জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার ও কবি ফারুক আহমেদ। কবি সুবোধ সরকার তাঁর বক্তব্যের কথায় তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রান্তিক মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছেন। আজ পশ্চিমবঙ্গ ধর্ম-সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে দুটি কুসুমে পরিণত হয়েছে, একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আপনারাই পেরেছেন। আবেগমথিত গলায় বলে ওঠেন কবি সুবোধ সরকার। কবিকে ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে। তবে এই মিলন উৎসবের অবশ্যই সবচেয়ে বড় উপহার ছিলেন সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। ৮৩ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গাইলেন, তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার...। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কীভাবে 'এক বৃন্তে দুটি কুসুম' বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে গেয়ে বেড়াতেন, সেসব স্মৃতিচারণ করলেন। সেই স্মৃতিচারণের পর হল নবীন ও প্রবীণের মিলন। জাতীয় স্তরে সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া তরুণ গায়ক মির আরেফিন রানাকে উপহার তুলে দিলেন কল্যাণী কাজী। আরেফিনও মাতিয়ে দিল ফোক আর মডার্নের মিশেলে। এরপর কবি ফারুক আহমেদ দুটি তাঁর রচিত কবিতা আবৃত্তি করলেন। কবি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরলেন এবং কুর্নিশ জানালেন, এই মহতি মহামিলন উৎসবকে সার্থক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমেরের চেয়ারম্যান ডা: পি বি সালিম সাহেবকে অফুরন্ত ধন্যবাদ দিলেন। তাঁর কবিতাপাঠে মুগ্ধ হলেন ৮ থেকে ৮০ আগত সকল দর্শকমণ্ডলী। কবি ফারুক আহমেদকে বিশেষ ভাবে এদিন সম্মানিত করা হয়। ফুলের স্তবক, উত্তরীয় ও মোমেন্ট আর মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের পক্ষ থেকে। সকলের প্রিয় বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ফারুক আহমেদের হাতে ফুলের স্তবক ও মোমেন্ট তুলে দিলেন আর কলম পত্রিকার সম্পাদক ও সাংসদ আহমদ হাসান ইমরা উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন। সবমিলে এদিনের আয়োজন চোখে দেখার মতো। পার্ক সার্কাসের এবছর মিলন উৎসব মহা মিলনোৎসবে সার্থকতা পায়। এ ছাড়াও এই সংগীত সন্ধ্যায় অসাধরণ গাইলেন, নূপুর কাজী, নাজমুল হক, পলাশ চৌধুরী। আর গজল গেয়ে মাতিয়ে দিলেন এস কে হাবিব ও শাকিল আনসারী। আর পরিচালনার পাশাপাশি কথার কারুকার্যে যোগ্য সঙ্গত করলেন শাকিল আনসারী। এই মিলন সন্ধ্যায় দর্শক আসনে ছিলেন সাংসদ নাদিমুল হক, কবি ও লেখক সুব্রতা ঘোষ রায়, প্রবীর ঘোষ রায়, কুমারেশ চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল, সমাজসেবী এস এস আলম, ড. আব্দুল মুজিদ, মো: আবেদ আলি, ওয়ায়েজুল হক, মহ. কামরুজ্জামান, ফিরোজ হোসেন, ডা: কবীর হোসেন, মসিহুর রহমান-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।         একুশে সংবাদ // এস. ফারুক // ১৮.০২.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1