সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পর্যটন কেন্দ্র রামরাই দীঘি রক্ষা করা জরুরী

প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সরকারি পর্যটন কেন্দ্র রামরাই দীঘি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত । দুরান্ত’র পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র’র পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন। পাখি দেখতে পাওয়া যায়, শুনা যায় তাদের মুখের ডাক। কিন্তু পুকুরে মুরগীর লিটারের দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠে এখানে ঘুরতে আসা মানুষগুলোর। প্রচন্ড শীতের কারনে সাইবার অঞ্চল থেকে আসা পাখিগুলো নোংরা ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। তাছাড়া এক শ্রেণির অসাধু মানুষ পুকুর পাহাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে অবাধে। এগুলোর জরুরীভাবে তদারকির দরকার। পাখিগুলো সারাদিন রামরাই দীঘি বা রাণীসাগরে আহার করে সন্ধ্যা হলে আসে পাশের জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। সকাল হলেই আবার রাণীসাগরে ফিরে এসে খাবার সংগ্রহ করে। কথা হয় সেতাবগঞ্জের আলেমার সাথে। তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, শুনেছিলাম রাণীসাগরে অনেক পাখি আসে। তাই দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে মনটা ভরে গেল। পুকুরের চারিদিকের শত শত লিচু গাছ দেখতে বেশ মনোরম। পুকুরের নীচ থেকে পাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশের সাথে মিশে আছে। সত্যিই এটিকে প্রকৃত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে রাজস্ব আয় করা সম্ভব হতো। কথা হয় ৮০ বছরের হাসান আলীর সাথে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, শত শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য রামরাই দিঘীতে মুরগীর লিটার দিয়ে এখানকার পানি ময়লা করা হচ্ছে। পুকুরের পানিতে মানুষ গোসল করতে পারে না। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাছাড়া পুকুর পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এগুলোক দিকবাল করা দরকার। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে হোসেনগাও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। কথা হয় চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের সাথে। তিনি বলেন, অতিথি পাখিরা প্রতি বছর এখানে। দুর দুরান্তের লোকজন এখানে পাখিগুলো দেখতে আসে। কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয়না। রামরাই দিঘীকে পুরোপুরিভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এতামধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কাজগুলো সমাপ্ত হলে এখানে রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি পাবে। রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, রামরাই দিঘি রাণীশংকৈলের জন্য একটি অহংকার। এখান থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়। এটিকে বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। এটি রাণীশংকৈলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রাখছে। এই ছোট সরালি জাতের অতিথি পাখি আমাদের এই রামরাই দীঘিতে প্রতি শীতকালেই আসে। এদেরকে শিকার করা দ-নীয় অপরাধ। তাই সকলকে অতিথি পাখি শিকার না করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন এটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আশা করি রামসাগরের মতো এটিও একদিন মানুষের কাছে আরো গুরুত্ব পাবে। ইতোমধ্যে এটি রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একুশে সংবাদ // এস.আনোয়ার // ২৫.০১.২০১৮

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1