সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

যেসব মসলা ক্যান্সার ঠেকায়

প্রকাশিত: ১১:৫৯ এএম, নভেম্বর ১১, ২০১৭
একুশে সংবাদ :আমাদের শরীর ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি হয়। এই কোষগুলোর নির্দিষ্ট সময় পরপর মৃত্যু ঘটে। তখন পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ তৈরি হয়। কোষগুলো নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। যখন এই কোষগুলো কোনো কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে, তখন ত্বকের নিচে টিউমার হয়। টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। বিভিন্ন খাবারে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান। কিছু মসলা রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ সাহায্য করে। হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে অনেকটা রাজার মতোই কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে পলিফেনল কারকুমিন, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, মস্তিষ্কের টিউমার, লিউকেমিয়া ইত্যাদি। এটি নিরাপদভাবে ক্যান্সার তৈরির কোষগুলোকে সরিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যকর কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। মৌরির মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যান্সার কোষের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বেশ কার্যকর এটি। এর মধ্যে রয়েছে এনথল, যা ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি বন্ধ করতে ভূমিকা রাখে, ক্যান্সারের এনজাইম কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে। মৌরি দিয়ে তৈরি টমেটোর স্যুপ একটি চমৎকার উপাদেয় খাবার। এ ছাড়া ভাজা মৌরিও অনেক উপকারী। জাফরানে রয়েছে প্রাকৃতিক ক্যারোটিনয়েড ডাইকাবোর্ক্সিল এসিড, যাকে ক্রোসিটিন বলা হয়। এটি ক্যান্সার তৈরির উপাদানের সঙ্গে লড়াই করে। জাফরান কেবল ক্যান্সারের উপাদান তৈরি ব্যাহত করে না, পাশাপাশি টিউমারের পরিমাণকেও কমায়। যার ফলে বিশ্বব্যাপী এর দাম বেশি। ২৫ লাখ ফুল থেকে মাত্র আধা কিলো জাফরন পাওয়া যায়। জিরা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এর মধ্যে আছে থাইমোকিউন, যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারে আপনি ব্যবহার করতে পারেন জিরা। গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এর মধ্যে রয়েছে আয়রন ও ক্যালসিয়াম, যা টিউমারের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। চায়ের মধ্যে দারুচিনি ব্যবহার করতে পারেন। দুধের সঙ্গে এটা খাওয়া যেতে পারে। আর রান্নায় তো অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন দারুচিনি। বেশিরভাগ পিৎজা এবং পাস্তায় স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়াতে অরিগেনো ব্যবহার করা হয়। এটি প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে অন্যতম একটি মসলা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোব্যাল উপাদান। এটি ম্যালিগন্যান্ট কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। লাল মরিচে রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান। এটি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং লিউকোমিয়ার টিউমার কোষকে ছোট করে দেয়। আদা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বিপাক ক্ষমতাকে বাড়ায় এবং ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যান্সারের উপাদান তৈরি প্রতিরোধে আরো কিছু খাবার সামান্য পরিমাণ কাজ করে। যেমন রসুন, পুদিনা পাতা ভারজিন অলিভি, ভিনেগার, অ্যাভাকোডা ইত্যাদি। সূএ - টাইমস অব ইন্ডিয়া। একুশে সংবাদ // এস.এলা // ১১.১১.২০১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1