সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে

প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, নভেম্বর ১, ২০১৭
গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ির সরকারি খালকে। এতে পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যাবহৃত একমাত্র এই খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাথে ভাগাড়ের ময়লার প্রচুর দুর্গন্ধে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পাশের একটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার গাড়ি ময়লা আবর্জনা অপসারণ করছে। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ অপসারণের কথা অস্বীকার করেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে পৌর এলাকার একমাত্র এই বৈরাগীরচালা-মাস্টারবাড়ি খাল যা পুরো পৌরসভাকে আবৃত্ত করে রেখেছে। পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশন কাজে এই খাল একমাত্র ভরসা থাকার পরও দিনের পর দিন বিভিন্ন প্রভাবশালীরা খালের অধিকাংশ জায়গা ভরাট করে ফেলায় আয়তন কমে আসছে এ খালের। এছাড়াও শিল্পকারখানার ব্যবহৃত পানিও এ খালে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত শ্রীপুর পৌর এলাকা জলাবদ্ধতার হুমকিতে থাকার পরও এ খালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি অংশকে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ময়লা আবর্জনায় খালটি এখন ড্রেনের আকার ধারণ করায় পানি প্রবাহিত বন্ধ হয়ে কৃষকের ফসলের জমিও নষ্ট হচ্ছে। গিলারচালা গ্রামের আহাম্মদ আলী বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মধ্যেও মহাসড়কের পাশে পৌরসভার যাবতীয় ময়লা আবর্জনা অপসারণের কারণে এই এলাকা দিয়ে চলাচলের সময় নাক চেপে চলতে হয়। স্থানীয় কৃষক নাজিমউদ্দিন বলেন, ময়লা আবর্জনার ফলে খালের অধিকাংশ জায়গায় পানি প্রবাহিত হয় না যার দরুণ দূষিত বিভিন্ন আবর্জনা আশেপাশের জমিতে ছড়িয়ে পরে এতে শতাধিক বিঘার জমিতে কোনো ধরনের ফসল ফলানো যাচ্ছে না। শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল বলেন, এভাবে এই খাল ভরাট করে ফেললে পৌর এলাকার অভ্যন্তরে পানি নিষ্কাশনের আর কোনো ব্যবস্থা থাকবে না, ফলে জলাবদ্ধতা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে। তাই যেকোনো ভাবেই হোক এই খালকে বাঁচাতে হবে। এই ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের ১০০ গজ দূরেই রয়েছে হাজী আব্দুল হাই মডেল একাডেমি নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম জানান, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে পাঠদানেও সমস্যা হয়। মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে পাঠদান করতে হয়। শ্রীপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিলান উদ্দিন দুলাল বলেন, এখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে ময়লা অপসারণের পর আমি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে মহাসড়কের পাশে আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ করেছি। শ্রীপুর পৌরসভার কনজারভেন্সী ইন্সপেক্টর (পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক) জহির উদ্দিন বলেন, এই স্থানে এখন আর পৌরসভার কোনো ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হয় না। হয়ত স্থানীয়রা খালে ময়লা ফেলে থাকতে পারে। শ্রীপুর পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন পালোয়ান বলেন, সরকারি খালে কোনো ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি প্রবাহিত বন্ধ করার সুযোগ নেই, এমন হয়ে থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, এখানে আমার জানামতে পৌরসভা হতে কোনো ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হয় না। তারপরেও আমি খোঁজ নিয়ে দেখব এখানে ময়লা অপসারণ করা হয় কি না। এমন হয়ে থাকলে আর এখানে তা অপসারণ করা হবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক সোনিয়া সুলতানা বলেন, সরকারি খাল ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর, এমন হয়ে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।   একুশে সংবাদ // সানি //০১.১১.২০১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1