সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ব্যাংকিং সেবায় আধিপত্য হারাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, জুন ১৮, ২০১৭
একুশে সংবাদ : বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাংকিং সেবায় আধিপত্য হারাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা বলা হয়েছে, ২০১১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি ব্যয় মেটানো হয় ২৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ২০১১ সালে স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৬৪ শতাংশ আমদানি ব্যয় মিটিয়েছে। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ শতাংশ। রোববার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ট্রেড সার্ভিস অপারেশনস অব ব্যাংকস শীর্ষক রিভিউ কর্মশালায় এ গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। বিআইবিএমের প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিতেও আধিপত্য হারাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রপ্তানি আয় এসেছে ১৮ শতাংশ। সেখানে ২০১৬ সালে কমেছে ১০ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চার কৌশলে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার অ্যান্ড আন্ডার শিপমেন্ট, পণ্যের মিথ্যা বর্ণনা এবং একাধিক ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বড় ধরনের অর্থপাচার হচ্ছে। অর্থপাচার প্রতিরোধের নীতিমালাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও এগুলো আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। স্বীকৃত ব্যাংকগুলোকে আমদানি-রপ্তানি মূল্যের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে, যাতে এই উপায়ে অর্থপাচার না হতে পারে। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তাদের নীতিনির্ধারকের মাধ্যমে অর্থপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ছে। বিআইবিএমের গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ট্রেড সার্ভিসের মাধ্যমে কেউ যেন ঋণ খেলাপি হতে না পারে সেজন্য যথোপযুক্ত তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর উচিত হবে অধিক স্বচ্ছতা নির্ধারণের জন্য এসব তথ্য যাচাই করা। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও আধুনিক নীতিমালার প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাণিজ্যকেন্দ্রিক অর্থপাচার ক্রমেই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু অর্থপাচার নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে অন্যান্য আর্থিক অপরাধগুলোও ঘটছে। এসব দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর কড়া নজরদারি করছে। প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেন তদারকি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেবা আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক নীতিমালার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন করেছে। আরও পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে অর্থপাচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পূবালী ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরকারি ব্যাংকগুলো বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সেবায় আরও গতিশীলতা আনতে ব্যাংকগুলোকে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে। বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন এনআরবি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসাইন, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনসিসি) প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ বারিকুল্লাহ প্রমুখ। কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব। একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ১৮.০৬.১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1