সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, মে ৩১, ২০১৭
একুশে সংবাদ : আজ বুধবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের উদ্যোগে তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকিসমূহ তুলে ধরে তামাক ব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘তামাক উন্নয়নের অন্তরায়’। দেশের ৬৪টি জেলায়ই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব জেলায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের দিবসটি উদযাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তনে সকাল ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধপরিকর। তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে পারলে জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। জনগণকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারলে এর ব্যবহার দ্রুত কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।। এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক একটি অনুষ্ঠানে বলেন, সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর, কেননা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি পাস এখন সময়ের দাবি। নীতি দুটি কেবিনেটে উপস্থাপন করা হলে এগুলো পাস হওয়ার জন্য মন্ত্রীর সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় থেকে যা করণীয় আছে তা করছেন বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, বিগত দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে এফসিটিসি স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর, আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং আইন সংশোধন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে। ‘ইউনাইটেড ফোরাম এগেইন্সট টোবাকো’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’এর অধ্যাপক ডা, সোহেল রেজা চৌধুরী একটি গবেষণা প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় চার কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩ ভাগ (দুই কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২ভাগ (দুই কোটি ৫৯ লাখ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে অনেক বেশি। বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৭ভাগ (পরিসংখ্যান, ২০১৩) কিশোর-কিশোরী তামাক ব্যবহার করে। এছাড়াও তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ (২০১৩) মানুষ অকালে মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, তামাকখাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায় তামাক ব্যবহারের কারণে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে তার দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। তামাকজনিত মোট ক্ষয়ক্ষতি হিসেব করলে তা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩ শতাংশ। একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ৩১.০৫.১৭           12:58

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1