সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

এক বছরেও জানান যায়নি হাসান খালেদকে হত্যার কারণ

প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, মে ২৬, ২০১৭
একুশে সংবাদ : ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিবিসিসিআই) সভাপতি হাসান খালেদ মারা গিয়েছিলেন গতবছর। তার লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গা নদীতে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলেছিল, তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু গত এক বছরেও তার হত্যার বিষয়ে এর থেকে বেশি আর কোনো কিছুই জানা যায়নি। দীর্ঘ এই সময় খুনিদের শনাক্তই করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে রহস্যও বের হয়নি। গত বছরের ২৭ জুলাই নিখোঁজের তিন দিন পর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে হাসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হাসান নিখোঁজের পর এর তদন্ত করেন তৎকালীন ধানমন্ডি থানার (বর্তমানে রমনা থানায়) এসআই খায়রুল বাশার। তিনি বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জের ধরেই হাসান খালেদকে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। তবে তার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি না পাওয়ায় কোনো কিছু জানা যাচ্ছিল না। এরপর প্রযুক্তির সহায়তা নিতে মামলাটির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওপর দেওয়া হয়। তারাই তদন্ত করেছে।’ বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কথা হয় উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে। বিস্তারিত জেনে জানানো হবে।’ গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ব্যবসায়ী হাসান খালেদের মোবাইল ফোনটি খোলা ছিল। সর্বশেষ অবস্থান ছিল ধানমন্ডির ২৪/এ নম্বর রোডে। কিন্তু এরপর থেকে তার মোবাইলটি বন্ধ ছিল। মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খুনিও শনাক্ত করা যায়নি। আবার তার পরিবারের নিকট স্বজনেরাও তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এসব কারণেই মূলত অপহরণকারী শনাক্ত করা যায়নি। অবশ্য তাকে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পেয়েছিল পুলিশ। সরেজমিন খালেদের ধানমন্ডির ৪/এ সড়কের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, হাসান খালেদের একমাত্র মেয়ে জেবা। এখনো বাবার শোকে কাতর। পাশেই বসে ছিলেন মামা ও নিহত হাসানের শ্যালক শরীফুল আলম। তিনি বলেন, ‘তার ভগ্নিপতি ঘটনার দিন সকালে নাস্তা না করেই ওষুধ আনার কথা বলে নিচে নামেন। এরপর তার মৃত দেহ পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করা হয়। এ কারণে থানায় মামলাও করি। কিন্তু এখনো খুনিরা ধরা পড়েনি।’ তার কোনো শত্রু ছিল কিনা, এমন প্রশ্নে শরীফুল বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত নরম প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। কারো সঙ্গে ঝগড়া করতেও দেখেনি। কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিল এমন কথাও কোনোদিন বলেননি।’ ব্যবসায়ী নেতা হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, ‘এ মৃত্যু স্বাভাবিক বিষয় না। এর পেছনে অবশ্যই কারণ আছে। কিন্তু এত দিনে খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া দুঃখজনক।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই হাসান নিখোঁজ হন। তিন দিন পর বুড়িগঙ্গার খোলামোড়া লঞ্চঘাট এলাকার মাঝ নদীতে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একুশে সংবাদ // পপি // রাজি // ২৬.০৫.১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1