সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শিক্ষার সাথে স্বাস্থ্য ও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা

প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, মে ২৫, ২০১৭
একুশে সংবাদ : গত কয়েক বছরে শিক্ষাখাতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এর মূল কারণ বাজেটে শিক্ষাখাততে প্রাধান্য দেওয়া। এই ধারা অব্যাহত রাখা উচিত। পাশাপাশি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজটে স্বাস্থ্য এবং গবেষণা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। ‘কেমন বাজেট চাই’ বিষয়ে দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের সাথে পক্ষ থেকে আলাপকালে তারা এই পরামর্শ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমি মোটাদাগে যে কথাটা বলবো আসন্ন বাজেটে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে। এ দুটিকে দেশের নাগরিকরা প্রত্যক্ষভাবে স্পর্শ করেন। শিক্ষাখাতের উন্নতি না হলে, সমাজটা জ্ঞানভিত্তিক না হলে, দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে যে ধরনের অবহেলা চলছে এভাবে চললে যারা অসুস্থ্য আছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাশাপাশি যারা সুস্থ্য আছে তারাও অসুস্থ্য হবে। এ খাতটাতে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তাছাড়া কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানীর প্রতি মনোযোগ বাড়ানো হবে। ইনডাইরেক্টলি যে কর আরোপ করা হচ্ছে সেটি কমানো উচিত।’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। দেশের উন্নয়নের জন্য এ তিনটি খাতে বাজেট বাড়ানো জরুরি। শিক্ষা খাতের বাজেটকে পরোক্ষভাবে বলা যেতে পারে দেশের জন্য বিনিয়োগ। মৌলিক গবেষণা বাড়াতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসেবা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সবসময় সাংস্কৃতিক খাতকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না। এ খাতে খুব কম বাজেট রাখা হয়। আমাদের দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে, জঙ্গিবাদ রুখতে আরো বেশি সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এ খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। অবকাঠামো রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত। এ খাতেতো গুরুত্ব দিতেই হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা উচিত। আমাদের বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সনাতনী পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কিছু খাতে বাজেট বেশি রাখ হয়। দেশের প্রত্যাশা ও চাহিদা অনুযায়ী বাজেট বাড়ানো উচিত। এক্ষেত্রে আমি বলবো শিক্ষা খাততে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে বাজেট বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বাজেট থাকে। কৃষিখাতে ভর্তুকি যথাযথ মাত্রায় রাখা উচিত। গত কয়েক বছরে কৃষকরা কৃষিক্ষেত্রে ৩/৪ গুণ উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে এ খাতে বাজেট বাড়ানো উচিত। এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় বাজেট বাড়াতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোখাতে বাজেট বাড়াতে হবে। তবে শিক্ষাখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে। এখাতে মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত।’ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে শিক্ষার যে হাল তাতে অনেক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই এ খাতটিকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী বাজেট প্রণয়ন জরুরি।’ একুশে সংবাদ // পপি // রাজি // ২৫.০৫.১৭     10:59

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1