সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুড়িগ্রামে শিলা বৃষ্টিতে পাটের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, মে ৬, ২০১৭
বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্টের পর এবার কুড়িগ্রামে শিলা বৃষ্টিতে পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শিলার আঘাতে পাট ক্ষেতের সব পাট গাছের আগা ছিড়ে যাওয়ায় হাহাকার পড়েছে কৃষকের মাঝে। শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এসব ক্ষেত থেকে খড়ি ছাড়া আর কোনো পাট পাওয়া যাবে না। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে পাট চাষী কৃষকরা।   চলতি মৌসুমে জেলায় ১৮ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হলেও কি পরিমাণ জমির পাট শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে হিসাব জানাতে পারেনি কৃষি বিভাগ।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা সদরের চর সুভারকুটি, চর কুড়িগ্রাম, আরাজি পলাশবাড়ী, খামার হলোখানাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টিতে ধান পাটের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা জানায়, ধানের চেয়ে পাটের ক্ষতি বেশি হয়েছে।   জেলা সদরের চর কুড়িগ্রামের কৃষক মাইদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালের শিলা বৃষ্টিতে তার নিজেরসহ এলাকার সব পাট গাছের আগা ছিড়ে গেছে। পাট গাছের আগা ছিড়ে গেলে সে ক্ষেত থেকে আর পাট পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় খুব দুঃচিন্তায় পড়েছি।   একই এলাকার খোরশেদ আলী ও তমিজ উদ্দিন জানান, কিছু ধান ক্ষেত নেক ব্লাস্টে নষ্ট হয়েছে। তবুও আশা ছিল পাট নিয়ে। পাট ক্ষেতও শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেল। এখন কি খেয়ে বাঁচবো।     এ ছাড়াও গত দু’দিনে জেলার যে সব এলাকায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে সেসব এলাকার পাট গাছের আগা ছিড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। এসব পাট ক্ষেতে খড়ি ছাড়া কোনো ধরনের ফলন পাওয়া যাবে না।   এব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মকবুল হোসেন শিলা বৃষ্টিতে পাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, আগা ছিড়ে যাওয়া পাট গাছ থেকে কোনো ফলন পাওয়া যাবে না এটা ঠিক। তবে ওই সমস্ত ক্ষেতে অন্য কোনো নতুন ফসল আবাদ করা যেতে পারে। প্রকৃত পক্ষে জেলায় কি পরিমাণ পাট ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব নিরুপনের কাজ চলছে বলে তিনি জানান।   তবে কৃষকরা বলছেন, এই মুহুর্তে ক্ষতিগ্রস্ত পাট ক্ষেতে নতুন করে অন্য কোনো ফসল আবাদ করা তাদের জন্য দুরুহ ব্যাপার। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা কামনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1