সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে

প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
একুশে সংবাদ : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৭৩ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় পাঁচ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এপ্রিল মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলি রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭৩ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পাটের সুতা ও কুণ্ডলি রপ্তানিতে ৪৩ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে পাটের সুতা ও কুণ্ডলি রপ্তানিতে ৪০ কোটি তিন লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল। চলতি বছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি আট লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল নয় কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে তিন কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ২০ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ২৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে। একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ২৯.০৪.১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1