সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গভীর খাদ বাংলাদেশে অবস্থিত

প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, এপ্রিল ২২, ২০১৭
জানা-অজানা : আজ থেকে প্রায় ১,২৫,০০০ বছর আগে তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের তলায় একটি গভীর উপত্যকা বা মেরিন ভ্যালি। যার নাম সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড, নামটি ব্রিটিশদের দেয়। বিশ্বের অন্যতম ১১টি গভীর খাদগুলোর মধ্যে সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড অন্যতম এবং এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গভীর খাদ। যে স্থান থেকে সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড শুরু হয়েছে সেখানে হঠাৎ করেই পানির গভীরতা অনেক বেশি। তাই ব্রিটিশদের ধারণা ছিলো সমুদ্রের এই খাদের কোনো তলদেশ নাই। সুন্দরবন এর দুবলার চর প্রায় ৪০ কি.মি দূরে বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৩,৮০০ বর্গ কিলোমিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিয়ে সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের অবস্থান। এর গভীরতা ১০ মিটার থেকে ১০০ মিটার, তবে ৭০% এর গভীরতা ৪০ মিটার- এর বেশি। তলদেশে রয়েছে কাদা মোশানো বালি যার ঘনত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। এখানের পানির র‍ং সম্পূর্ণ আলাদা আর যা দেখেই সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের এলাকায় বুঝা যায়। গঙ্গা -ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরেরর ভেতরে একটি গভীর খাদে। এটিকে গঙ্গা খাদ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা মাছ ধরার ট্রলার করে সোয়াচ অভ নো গ্রাউন্ড এ মাছ ধরতে যায়। তারা ঠিকই জানে এখানে গভীরতা অনেক বেশি। তবে কতটা তা হয় তো তাদের জানা নেই। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডকে জেলেরা “নাই বাম” বলে থাকে, কারন তারা সাগরের হিসাব করে দশ বাম, বিশ বাম আর এই স্থানের কোনো হিসাব নেই তাই তারা বলে “নাই বাম”। এছাড়া এটি সামুদ্রিক প্রাণীরদের একটি অভয়ারণ্য। এখানে তিমি, (ডলফিন ও তিমি পরিবারের ছোট সামুদ্রিক প্রাণি ) পপাস, ইরাবতী ডলফিল, ইমপ্লাস ডলফিন (এদের কোনো পাখনা থাকে না, পিঠ মশ্রিন), ইন্দো প্যাসিফিক ডলফিন বেশ উল্লেখযোগ্য। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড পৃথিবীর একমাত্র সোয়াচ যেখানে এই তিনটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী একসঙ্গে দেখা যায়। একুশে সংবাদ /এস এন/২২.০৪.২০১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1