সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ফের চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা

প্রকাশিত: ১০:৩০ এএম, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
একুশে সংবাদ : দক্ষিণ চীন সাগর আবারও উত্তপ্ত । মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসার পর থেকেই চীন এবং আমেরিকা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। ট্রাম্প জমানায় দুই শক্তিধর দেশের সম্পর্ক কেমন হবে সেই নিয়েই সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। এরমধ্যেই শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে নিমিৎজ শ্রেণির মার্কিন এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার ইউএসএস কার্ল ভিনসনের মহড়া নিয়ে আরও উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। শুধু কার্ল ভিনসন নয়, আরও বেশ কয়েকটি মার্কিন রণতরী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আর এতেই বেজায় চটেছে বেইজিং। দক্ষিণ চীন সাগরে যাতে চীনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট না হয়, সেজন্য গত বুধবারই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তবে আমেরিকা তাতে কর্ণপাত করেনি এবং এই অঞ্চলে বেইজিংকে আধিপত্য কায়েম করতে দেবে না এই মহড়া থেকেই সেটা স্পষ্ট। উল্লেখ্য, শুক্রবারই দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের মহড়া শেষ করেছিল ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। তার পাল্টা জবাব দিতেই আমেরিকার এই মহড়া বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও আমেরিকার পক্ষ থেকে এটা মানতে চাওয়া হয়নি। রিয়ার অ্যাডমিরাল জেমস কিলবি জানান, ”যেকোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেদের তৈরি রাখার জন্যই এই মহড়া। এছাড়া এর পিছনে অন্য কোন কারণ নেই। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের মিত্রশক্তিদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া তৈরি করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ও তাইওয়ানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের নতুন করে হৃদ্যতা তৈরি হওয়ায় আমেরিকার উপর বেজায় চটেছিল বেইজিং। ভারতের সঙ্গে জাপানের যৌথ সামরিক অভিযানও মেনে নিতে পারেনি চীন। রুশ সীমান্তেও একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে বেইজিং। রুশ মিডিয়ার দাবি, ওই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানায় রয়েছে ওয়াশিংটন। দ্রুতই ট্রাম্পের সঙ্গে চীন সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অভূতপূর্ব সামরিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে এই যুদ্ধে অতীতের দুটি বিশ্বযুদ্ধকেও বহুগুণে ছারিয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হয়। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি অনেকদিন ধরেই। চীনের দাবি পুরো এলাকাটি তাদের নিজস্ব। আর এতেই আপত্তি ব্রুনেই, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে তাদেরও অধিকার রয়েছে। এদিকে, পুরো এলাকাটিতে নিজেদের শক্তি বাড়াতে কৃত্রিম দ্বীপও তৈরি করেছে বেইজিং। শুধু আশেপাশের দেশগুলো নয়, আমেরিকাও চীনের এই পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিনিয়ত নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।     একুশে সংবাদ // এস এস // ২০.০২.২০১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1