সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আগামী নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ই-ভোটিং

প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
একুশে সংবাদ  : আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ই-ভোটিং বা ইভিএম। দেশের কিছু এলাকায় আংশিকভাবে ই-ভোটিং পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য আগের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাদ দিয়ে নতুন করে উন্নত মানের ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) তৈরির জন্য কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কমিটি একটি বৈঠকও করেছে। কারিগরি কমিটির সদস্যরা বলছেন, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও ই-ভোটিং চালু হলে ভোট গ্রহণের স্বচ্ছতা বাড়বে। থাকবে না জাল ভোট দেওয়ার প্রবণতা। ভোটের সুরক্ষার জন্য এই মেশিনে যুক্ত করা হবে ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের আইরিশ। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রের বাইরে ডিজিটাল বোর্ডে ভোট প্রদানের সংখ্যা দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তারা বলেছেন, ডিভিএম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কমিটির কাছে বেশ কিছু অবজারভেশন এসেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ ইভিএমে নতুন কিছু সংযোজন, বিয়োজন, ত্রুটি-বিচ্যুতি সারতে কয়েকটি সুপারিশ করেছে। সব নিয়ে পর্যালোচনা করে আরেকটি মিটিং করতে হবে। এরপর সব ঠিকঠাক করে দ্রুত নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। ইসির অনুমোদন পেলে মেশিন তৈরির কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ই-ভোটিং চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং চালুর জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী আনতে হবে। সেই অনুযায়ী আইনকানুনও সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং চালুর আগে রাজনৈতিক ঐকমত্য খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে এ প্রযুক্তিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নিতে হবে। এর আগে আইন-বিধি সংস্কারও করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন এসে, মাত্র ২২ মাসের মধ্যে সারা দেশে ই-ভোটিং চালু করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে আংশিকভাবে আগামী নির্বাচনে চালু হবে ই-ভোটিং। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে (নভেম্বর-জানুয়ারি) একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে। তাদের হাতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে সময় রয়েছে প্রায় ২১ মাস। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন চালু নিয়ে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে, তখন নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটিও ই-ভোটিং চালুর বিষয়ে তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদা কমিশনের সময় ২০১০ সালে ইভিএম যাত্রার পর ২০১৫ সালে তা থেকে যায় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশনে। বিদায়ের আগে তারা নিজেদের উদ্যোগে নতুন ইভিএম চালুর প্রস্তাব রেখে যায় এবং একটি ‘টেকনিক্যাল কমিটি’ করে দেওয়া হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারিগরি দিক ও ব্যবহার পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ১৯ সদস্যের ‘টেকনিক্যাল কমিটি’ গঠন করে যায় সদ্য বিদায়ী কমিশন। টেকনিক্যাল কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে। কমিটির সভাপতি হচ্ছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান। এ ছাড়া টেকনিক্যাল কমিটিতে ইসি সচিবালয়, এনআইডি উইং, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইএসটি, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে স্থানীয় পর্যায়ের ভোটে ইভিএম চালুর পর দশম জাতীয় নির্বাচনে তা ব্যবহারের প্রক্রিয়াও সচলছিল। শুরু থেকেই ইভিএম তৈরির ব্যাপারে ইসি বুয়েটের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কারিগরি সহযোগিতা নেয়। বুয়েটের সরবরাহ করা ইভিএম চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে সীমিত আকারে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে যাত্রার পাঁচ বছরের মাথায় কারিগরি ত্রুটিকে কেন্দ্র করে ইসি ও বুয়েট দ্বন্দ্বের মধ্যে ইভিএম অধ্যায়ে ছেদ পড়ে। তবে এবার ইসি নিজস্বভাবে এই মেশিন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।     সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন একুশে সংবাদ // এস এস // ১৯.০২.২০১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1