সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হারিয়ে যাচ্ছে মৃত শিল্প

প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
একুশে সংবাদ : বালার ঐতিহ্যবাহী মৃত শিল্প বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। এখন আর পালবাড়ির পাশদিয়ে যাওয়ার সময় কাঁচা মাটির সোঁদা গন্ধ পাওয়া যায়না। প্লাস্টিক এর তৈরী আসবাব পত্রের বদৌলতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাংলার পুরোনো এই শিল্প। বেকার হয়ে পড়ছে প্রায় সকল মৃত শিল্পী। মাটির আসবাব পত্রের চাহিদা নাথাকা ও কুমার মাটি সংকটের কারণেই বর্তমানে মাথা তুলতে পারছেনা এই শিল্প। পালদের মাটি দিয়ে তৈরি নানা জিনিস এর মধ্যে হাড়ি, কড়াই, কলস, ভাঁড়, টালি, খেলনা, পুতুল, ফুলদানি, ছাঁইদানি ইত্যাদি বাংলার পুরোনো ঐতিহ্য বহন করে। পাল বা কুমাররা মাটি দিয়ে শৈল্পিক হাতে তৈরী করেন বিভিন্ন রকম মাটির হাড়ি-পাতিল, মাছ ধোয়া ঢোলা, কলস, পনুয়া, কসুরী, ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রকার খেলনা যেমন- পুতুল , নৌকা, বালতি, গামলা, জগ, কাড়াই, চুলা, টাকা জমানোর ব্যাংক ইত্যাদি। এবং এগুলো বাড়িতে বাড়িতে ফেরিকরে ও বিভিন্ন হাটে নিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত কুমাররা। এখন তা আর তেমন একটা চোখে পড়েনা। পালদের পূর্বপুরুষরাও এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এ পেশা দিয়ে এখন আর সংসার চালানো যায়না বলে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে ঝুঁকছে অন্য পেশায়। তাদের তৈরি এ সব জিনিস এখন আর তেমন একটা ব্যাবহার করা হয় না। হিন্দুদের পূজা কিংবা বিয়েতে এখনো মাটির তৈরী কলস, বাটি ইত্যাদির ব্যবহার হলেও সেটা অতি নগণ্য। কিন্তু এখন আর তা হচ্ছেনা। বর্তমানে পহেলা বৈশাখ সহ গ্রামীণ মেলায় মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা পুতুলসহ কিছু জিনিস বিক্রি হয়। অনেকেই মাঝে মাঝে শখের বসে যৎসামান্য জিনিস ক্রয় করে থাকে। এক সময় এসব আসবাব পত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কদর ও চাহিদা ছিল। এক সময় মাটির তৈরী গাছ রোপণের টপের বেস চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কমে গেছে। যা দেশের নার্সারীসহ বিভিন্ন বাড়ির শোভা বর্ধনের কাজে ব্যবহৃত হত। প্রতিটি টপ তখন ১০-১৫ টাকায় বিক্রয় করা হলেও বর্তমানে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প মূল্যে তা বিক্রি করতে পারছে না তারা। এছাড়া এখন প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন আয়রন জাতীয় জিনিসের তৈরি টপ পাওয়া যায় বলে এখন মাটির তৈরী টপের চাহিদা কমে গেছে। মাটির তৈরি থালা আকৃতির বাসন যা আগে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এখন আর তা ব্যবহার হচ্ছেনা। এসব কারণে প্রায় সার বছরই কুমারদেরকে বসে থাকতে হয়। বাজারে প্লাস্টিকের পণ্যের কারনেই মূলত এই শিল্প বিলুপ্তির পথে। যদি সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয় তাহলে হয়তো আবার এ শিল্পে প্রাণ ফিরে আসবে । এছাড়া এই শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো যাবেনা। একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ১৮.০২.১৭

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1