সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দক্ষিন,পশ্চিমাঞ্চলে ইয়াবা আসক্ত

প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :  দক্ষিন,পশ্চিমাঞ্চলের শহর থেকে শুরু করে উপজেলা শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বত্র এখন মাদকের ছড়াছড়ি। সবাই জানে মানবদেহের জন্য মাদক বা নেশাজাত দ্রব্য বিরাট ক্ষতিকারক, এটা বিশ্বব্যাপী সৃকৃত। নেশা ও নেশাজাত দ্রব্যের ব্যাপারে চিকিৎসাক ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত যে,- নাম যা-ই হোক নেশা ব্যবহারে মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটতে পারে। মদ খাওয়া মানুষদের তাৎক্ষণিক অবস্থা যারা কাছে থেকে দেখেছেন, তাদের সকলেরই এটা জানা যে- মদের প্রতিক্রিয়ায় কিভাবে একজন মদখোর তার স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি হারিয়ে প্রায় পাগলের অনুরূপ আবোল-তাবোল বকতে থাকে।   গাঁজা,বাবা,কোকেন,হিরোইন ও ইয়াবাসহ নতুন নতুন বিভিন্ন মাদকের ছড়াছড়িতে যুব সমাজসহ এক শ্রেণীর ইয়াবা আসক্ত মানুষ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছে ফলে ধ্বংষ হচ্ছে যুব সমাজ। বর্তমানে এই নেশা শিশু ও কিশোরদের গ্রাস করছে। তবে মাদক বিক্রয়কারী বড় বড় রাঘব বোয়াল সিন্ডিকেট ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তারা রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়। তাদের ক্ষমতার অপর উৎস্য হলো সয়ং প্রশাসনের কিছু দূরর্নীতিবাদ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে ২১টি জেলার উপজেলা শহর ইউনিয়নের ও পৌর সভা ও প্রত্যেকটি বাজারে চলছে মাদক এর জমজমাট ব্যাবসা। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আমদানী হলো ইয়াবা । যার ভিন্ন নাম ‘বাবা’ ট্যাবলেট। তা এখন আর যুবসমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ছড়িয়ে পড়েছে স্কুলগামী তরুণ সমাজ তথা ছাত্রদের মধ্যে। যে কারনে সেবনকারীরাও অবাধে কিনতে পারছে তাদের নেশাদ্রব্য। প্রতিটি ইয়াবা ট্যাবলেট ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।এসব কারণেই ইয়াবা,সহ সকল প্রকার মাদক দ্রব্য বিক্রয় ও সেবনকারীদে এলাকাবাসী মনে করেন। খোঁজ খবর ও ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ফেনসিডিল এখন চাহিদা এতবেশী যে, শুধুমাত্র এদেশে পাচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের বিভিন্নস্থানে গড়ে উঠেছে নকল ফেনসিডিলের কারখানা।   দেশের অভ্যন্তরে শহরাঞ্চল ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে গড়ে উঠেছে ডাইল বা মধু পট্টি। স্থানভেদে নেশাখোরদের কাছে এখন ফেনসিডিল, ডাবুর,হেরোইন ও ইয়াবা সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাদক দ্রব্যের দরদাম উঠা নামা করে আবার দু’পারের প্রশাসনিক তৎপরতার উপর সঙ্গতি রেখে। চারিদিকে এখন শুধু ফেনসিডিল, ডাবুর, ম্যাজিক মোমেন্ট, ভোটকা, অফিসার্স চয়েস, রাম, হেরোইন, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকের ছড়াছড়ি। অবস্থাদৃষ্টে এর বিরুদ্ধে শুধু প্রশাসনিক নয়, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সুধিসমাজ। জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত এলাকা প্রায় ৬শ কিলোমিটার। সুন্দরবন এলাকার রায়মঙ্গল নদীর কাছে কৈখালী থেকে কুষ্টিয়ার হার্ডিং ব্রীজ পয়েন্ট এই দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে চোরাচালান ঘাট। উভয় সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল শিথিল হলেই বানের পানির মত মাফিয়া চক্র ঢুকিয়ে দেয় মাদক দ্রব্য। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভাবী শিশু, কিশোর ও মহিলাদের কাজে লাগানো হচ্ছে মাদক দ্রব্য পারাপাওে ও বিক্রয় কাজে। সূত্র জানায়, ওপারে সীমান্ত রক্ষীদের সাথে মাফিয়া চক্রের বিশেষ করে মাদক দ্রব্য পাচারে ইতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান। নেশা দ্রব্য পাচারেও নাকি তাদের টহল ও মনোভাব শিথিল রয়েছে। কিন্তু এপারে সীমান্তরক্ষীদের ভূমিকা কঠোর হলেও দীর্ঘ সীমান্ত জটিলতা ও দেশের অভ্যন্তরে তৃণমূল পর্যায়ে প্রশাসনের নামে ক্যাশিয়ারদের পরোক্ষ সহযোগিতায় নেশাজাতদ্রব্যর বেচাকেনা বেড়েই চলেছে। আর এই নেশার টাকার যোগান দিতে যুব সমাজ জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৯০ এর দশক থেকে মূলত ভারত থেকে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মাদকদ্রব্য আসা শুরু হয়। ভারতের বোম্বে থেকে কোম্পানী কফ সিরাপ হিসাবে ফেনসিডিল বাজারজাত করে বেশ আগে থেকেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানতে পারে বা ব্যাপকভাবে প্রচার হয় যে, হয়। এরপর তারা এ্যালকোহল’র মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। চাহিদা এবার তুঙ্গে চলে যায়। এক পর্যায়ে তা নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ হয়নি এক দিনের জন্য হলেও। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের নেশাখোরদের কাছে ফেনসিডিলের চাহিদা বাড়তে থাকলে পাচার ও বেড়ে যায় বহুগুনে। সেই থেকে ফেনসিডিল আসছে তো আসছেই। এমন কোনো দিন নেই যে, মাদকদ্রব্য দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে না। সাতক্ষীরার দেব হাটার হাড়দ্দাহ, শাখরা, খানজানিয়া, কালীগঞ্জের উকশা, বাশবাড়িয়া, রসুলপুর, বসন্ত পুর, শ্যামনগরের কৈখালি, সদরের ভোমরা, গাজীপুর, ঘোনা, বৈকারী, কুশখালী, তলু গাছী ও কলারোয়ার কেড়াগাছী, কাক ডাঙ্গা, ভাদিয়ালী, মাদরা, হিজলদি, সুলতান পুর ও চান্দুড়িযা সীমান্ত সহ ৩০ টি পযেন্ট এব যশোরের সাদীপুর, বাগ আঁচড়া, শিখারপুর, মাসিলা, ঝিনাইদহের যাদপুর, সামান্তা, চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর রাজাপুর, দর্শনা, মেহেরপুরের গাংনী, মজিবনগর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন ঘাট এলাকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে আসে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। ঘাট এলাকা থেকে ফেন্সি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে ব্যবহার করা হয় বাস ট্রাক, ট্রেন, মাইক্রো, প্রাইভেট, মোটর সাইকেল ও সর্বপরি পথচারী বেশে লোকদের বাজার ব্যাগে। বর্তমানে ফেন্সি পাচারে দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন সব কৌশল অবলম্বন করছে। কাঠ, কুমড়া, কলা, পেঁপে, সাইকেলের টিউব, প্রাইভেট, মাইক্রো, ট্রাক সহ প্রায়ই ধরাও পড়ছে তারা। কিন্তু এক দিনের জন্য হলেও বন্ধ হয়নি ব্যবসা। বেনাপোল, মহেশপুর, চৌগাছা, সামান্তা, রাজগঞ্জ, কেশবপুর, তালা, পাটকেলঘাটা, দর্শনা, জীবননগর, মেহেরপুর, কলারোয়া, দৌলতপুর, যুগিবাড়ী, বোয়ালিয়া, পাঁচপোতা, বেলেডোঙ্গা, সোনাবাড়িয়া, বুচতলা, রয়েরডাঙ্গা, রামভদ্রপুর, গয়ড়া, কাজিরহাট, ঠাকুরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য ফেনসিডিলের চোরা গুদাম বা আড়ৎ রয়েছে। বিভিন্ন সময় বিজিবি, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের হাতে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও চোরাচালানীসহ ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আটক হলেও তা বন্ধ করা যায়নি। শুধুমাত্র মাঝে মধ্যে স্পট পরিবর্তন হয়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী সহ প্রত্যন্ত এলাকার প্রভাবশালীরা মাদক সহ এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অন্য একটি সুত্র জানায় ফেনসিডিলের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিভিন্নস্থানে নকল ফেনসিডিলের কারখানা রয়েছে। যেখানে থেকে প্রতিদিন নাকি চাহিদানুযায়ী ২/৩ লাখ লিটার ফেন্সি উৎপাদন হয়। যা কিনা বোতলজাতের পাশাপাশি ড্রামে ভর্তি হয়ে এপারে আসে। এবং নিরাপদ স্পটে রেখে তা বোতলজাত হয়। সূত্র জানায়, ভারতীয় দামের তুলনায়। বর্তমানে উদ্যম হারিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে তিলে জীবনের আলো নিভে যায়। তাদের মতে আসল ফেন্সির চেয়ে নকল ফেন্সি আরো বেশি ক্ষতিকারক। জানা গেছে, গোম্যাথাজিন, কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, হরমনের বিকৃতিতে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। যৌন ক্ষমতা লোপ, চর্মরোগ সহ মানসিক বিকারগ্রস্থ পয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে ভ্যান চালক ব্যবসায়ীসহ কর্মজীবি বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও বয়সের মানুষরা ক্রমাগত ফেন্সিডিল ও হেরোইনে আসক্ত হয়ে ধাবিত হচ্ছে ধ্বংসের দিকে। এ ব্যাপারে এই মুহুর্তে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন জোরদার, নয়তোবা ধ্বংসের দিকে দ্রুত ধাবিত হবে যুব সমাজ। এদিকে দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র যেন মুহুর্তে দ্বিতীয় কলকাতা হিসেবে রুপান্তিত হয়েছে। বিভিন্ন মুদি, কসমেটিক্স সহ কাপড়ের দোকানে উঠানো হয়েছে ব্যাপক পরিমাণ ভারতীয় পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ি কাপড়, তৈরী পোষাক, পটকা বাজী, সুগন্ধী সহ বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় পণ্য। ভারতীয় পণ্য রয়েচে। সূত্র জানায়, এদের দোকান ছাড়াও স্ব-স্ব গোপণ গুদাম রয়েছে। বিভিন্ন পর্বনকে সামনে রেখে তারা বেশ আগে ভাগেই এসব অবৈধ পণ্য গুদামজাত করে রাখে। অথচ এতকিছুর পরেও স্থানীয় প্রশাসন এক অজ্ঞাত কারণে কোনো   একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//১৯-১০-২০১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1