সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

লবণের সংকট সৃষ্টি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড!

প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৬
একুশে সংবাদ : দেশে প্যাকেটজাত ভোগ্য লবণের কেজি কোম্পানি ভেদে এখন ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা। গত বছর এই সময়ের তুলনায় যা ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবার উৎপাদন কম হওয়ায় লবণের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝতে মন্ত্রণালয়ের অবহেলাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার দুই দফায় আড়াই লাখ টন লবণ আমদানির যে অনুমোদন দিয়েছে, দাম কমাতে তা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ লবণ মিল মালিকরা। এক শ্রেণির দালাল চক্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এমন আমদানি অনুমোদন দেওয়ায় শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।   images-1 অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তালিকাভুক্ত দুই শতাধিক লবণ মিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে লবণ আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই এখন লবণ ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। আবার কোনো কোনো কোম্পানি একাধিক নামে পেয়েছে লবণ আমদানির অনুমোদন। আবার কোনো কোম্পানি অনুমোদন পেয়েছে তাদের গুদামের ঠিকানায়। যেমন: মোল্লা সল্ট অনুমোদন পেয়েছে চারটি কোম্পানির নামে। এছাড়া মধুমতি সল্ট অনুমোদন পেয়েছে তাদের টেকনাফের হ্নীলায় অবস্থিত গুদামের নামেও। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনেকেই পারমিট ব্যবসায় জড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। যে লবণ মিলগুলো প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ১২শ’ টন লবণ প্রক্রিয়া করে থাকে তাদেরও যে পরিমাণ লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, ছয় বছর বন্ধ থাকা বা ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া লবণ মিলের মালিকদেরও সেই পরিমাণ লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে বড় মিল মালিকরা বাধ্য হবে ছোট মিল মালিকদের আমদানির অনুমোদনপত্র ৪/৫ গুণ বেশি টাকায় কিনে নিতে। এতে লবণ আমদানির ফলে বাজারে হয়ত সংকট কাটবে, কিন্তু দাম কমবে কিনা প্রশ্ন আছে। এ বিষয়ে কনফিডেন্স সল্টের সাইদুল হাসান বলেন, আমরা শুরু থেকেই সরকারকে বলে আসছি যে কোম্পানি যতো পরিমাণ আয়োডিন ব্যবহার করে, তাদের সেই পরিমাণ লবণ আমদানির অনুমতি দিতে। বিসিক যেহেতু লবণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আয়োডিন সরবরাহ করে, তাই তাদের কাছে সে হিসেবও আছে। ‘‘কিন্তু সরকার যে ৬২৫ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে, তাতে আমাদের মিলের এক মাসের উৎপাদন চালানো সম্ভব হবে। কারণ এমনিতেই বর্তমানে লবণের অভাবে মিল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাই মিল চালাতে হলে ছোট আমদানিকারকদের কাছ থেকেই চার-পাঁচ গুণ বেশি দামে লবণ কিনতে হবে,’’ যোগ করেন তিনি। এসিআই সল্টের বিজনেস ডিরেক্টর কামরুল হাসান বলেন, সরকার যে পদ্ধতিতে লবণ আমদানির লাইসেন্স দিয়েছে, তাতে লবণের দাম কমবে না। কারণ আমদানি করা লবণ প্রোসেসিং পর্যায়ে ৬৫ ভাগ বাদ গেলে এবং ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দরে লবণ কিনে মিল চালাতে গেলে বর্তমান বাজার দরেই লবণ বিক্রি করতে হবে। এতে ক্রেতাদের পকেট কাটা গেলেও লাভবান হবে ভুয়া আমদানিকারকরা। লবণকাণ্ডের দায় মন্ত্রণালয়ের: বড় বড় লবণ উৎপাদনকারীরা বলছেন, গত ফেব্রুয়ারিতেই সরকারকে দেশে লবণ সংকটের কথা জানানো হয়েছিল। শিল্প মন্ত্রণালয়াধীন লবণ কমিটিও সরকারকে লবণ আমদানির সুপারিশ করেছিল। গত ৯ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও বাড়তে থাকা লবণের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত আমদানির সুপারিশ করে। আবার রমজানের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণায়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে লবণ আমদানির দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এসব সুপারিশ ও দাবিকে পাত্তা দেয়নি মন্ত্রণালয়।     একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//২৪-০৯-২০১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1