সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু লেবাননে

প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, আগস্ট ২২, ২০১৬
একুশে সংবাদ : ৫০ হাজার কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু লেবাননে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই শ্রমিক যেতে পারবে বলে ধারনা করা হচ্ছে । দুই দেশের দূতাবাস ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তিপত্র তৈরি করেছে। চুক্তি সইয়ের পর শুরু হবে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া । রবিবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে শ্রমিক ভিসায় গৃহকর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী যাচ্ছেন লেবানন। তবে দেশটিতে সব খাতে কর্মী নেয়ার বিষয়ে এই প্রথম চুক্তি হতে যাচ্ছে। এই সমঝোতা চুক্তিতে বেতন, অভিবাসন ব্যয়- এসব বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তন করে বেতন আরও বাড়ানোর বিষয়টিও থাকছে তাতে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে লেবাননে সব খাতে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতোমধ্যে সমঝোতাপত্র তৈরি করা হয়েছে। দুই দেশের দূতাবাস মিলে এই সমঝোতাপত্র তৈরি করেছে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতাপত্রে সই করা বাকি। কবে নাগাদ স্বাক্ষর হতে পারে জানতে চাইলে আজহারুল হক বলেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি হবে। তবে নির্দিষ্ট করে সময় বলা যাচ্ছে না।” এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, “লেবাননে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান বেতনকাঠামো বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি আমরা। ওই দেশের নীতিমালার আলোকে তারা এটি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে। তবে কত টাকা নির্ধারণ করা হবে সেটি ঠিক করতে একটু সময় লাগছে। এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।” প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লেবাননে অভিবাসন ব্যয় বেশ কমে আসবে। অভিবাসন ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখ থাকবে সমঝোতাপত্রে। সরকার নির্ধারিত খরচের মধ্যে শ্রমিক পাঠাতে পারবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। কেউ বাড়তি টাকা নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুযোগ থাকবে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বলেন, বর্তমানে গৃহকাজে নারী শ্রমিক যাচ্ছেন লেবাননে। তাদের কোনো অর্থই খরচ হওয়ার কথা নয়। তার পরও পাসপোর্ট ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজে তাদের খরচ হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর যে পুরুষ কর্মীরা যাচ্ছেন তারা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যান। মন্ত্রণালয়ের এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। রিক্রুটিং এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের লেবানন যেতে খরচ হয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। তবে সমঝোতা চুক্তির পর প্রায় সব খাতে নতুন কর্মী লেবাননে যেতে পারবে। তাদের খরচ হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এই টাকা খরচ হবে যদি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ভিসা ও বিমান ভাড়া দেয়। আর সেটাও যদি নিজের বহন করতে হয় তাহলে খরচ আরও বাড়বে। যুগ্ম সচিব আরও বলেন, “কত টাকা খরচ হবে সেটা চূড়ান্তভাবে জানা যাবে দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্তের পর। তারা কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।” মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লেবাননে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে একজন নারী কর্মী মাসে ১৫০ মার্কিন ডলার বেতন পান। তার বেতন ২৫০ ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর একজন পুরুষ কর্মী বর্তমানে পান ২৫০ ডলার। তার বেতন প্রস্তাব করা হয়েছে ৪০০ ডলার। গত ১৭ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, আগামী কয়েক মাসে লেবাননে ৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানো যাবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হবে। গত ১১-১৩ আগস্ট লেবানন সফর করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তার ওই সফরে বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, সব খাত (বিশেষ করে নির্মাণ, চিকিৎসা, নার্স ও প্রকৌশলী) বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়ে লেবাননের সঙ্গে আলোচনা হয়। তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয় লেবানন। দেশটিতে বর্তমানে এক লাখ ৪২ হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত আছেন। একুশে সংবাদ ডটকম//এম এ//২২-০৮-২০১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1