সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীর বেতন ৩০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি নয়

প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, আগস্ট ৯, ২০১৬
একুশে সংবাদ : কোনো অবস্থাতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না বলে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০১৫ সালের নতুন পে-স্কেল প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিক বেতন ও টিউশন ফি বাড়িয়ে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় আর্থিক চাহিদা নিরূপণ করে শিক্ষার্থীর নিকট হতে বিদ্যমান হারে ফি আদায় করা হলে তার মোট হিসাব প্রদর্শনপূর্বক ঘাটতি/উদ্ধৃত্ত (যদি থাকে) নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নির্ধারণ করতে হবে। তবে কোনো অবস্থাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না। তাছাড়া সংস্থাপন ব্যয় বাবদ ভর্তি নীতিমালায় বর্ণিত সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি এর অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি বেতন ভাতার অংশের বাইরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাড়তি ভাতা প্রদানে ইচ্ছুক হলে, তার পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারিত হবে যেন একজন শিক্ষকের মোট প্রাপ্তি কোনোভাবেই একই স্কেলভুক্ত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মোট প্রাপ্তির বেশি না হয়। একজন নন-এমপিও শিক্ষকের বেতন ভাতার মোট পরিমাণ কোনোভাবেই সমস্কেলের একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা জনবল কাঠামো অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো শ্রেণি শাখা বৃদ্ধি করা যাবে না। শ্রেণি শাখার অনুমোদন না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বৈধ হবে না। অনুমোদন ছাড়া নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট কোনো বেতন বা ফি আদায় করা যাবে না। শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতাদি জনবল কাঠামোতে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় শুধু ঘাটতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ উক্ত ঘাটতি মেটানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট হতে প্রয়োজনীয় অর্থ ভর্তি ফি ও টিউশন ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে আহরণের প্রস্তাব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রস্তাবটি পরীক্ষা করে তা যথাযথ প্রতীয়মান হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-এর নিকট উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অনুমোদন করলে বিদ্যালয় ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। একুশে সংবাদ ডটকম//এমএ//০৯-০৮-১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1