সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের পরিবারগুলো জীবনযুদ্ধের লড়াই ॥

প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, জুলাই ২৬, ২০১৬
একুশে সংবাদ: মমিনুল ইসলাম চিলমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: ব্রহ্মপুত্র সর্বনাশী খেলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার হাজার হাজার পরিবার। প্রায় ৩সপ্তাহ ব্যাপি ব্রহ্মপুত্র তিস্তার বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য অভাব। বিতরন হয়নি তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী। বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে ক্ষেত খামার। ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে উঁচু বাঁধে, নিরাপদ আশ্রয় স্থানে। করছে অমানবিক জীবনযাপন। এই উপজেলা ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা মধ্যেবর্তী স্থানে পরায় চারদিকে থই থই পানি। চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই পানি আর পানি। ভাসমান পরিবার গুলোর কষ্ট আর দুঃখ বাড়ছেই।আর সেই সাথে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের পরিবারগুলো জীবনযুদ্ধের লড়াই করে রয়েছে বেঁচে। কখনো বন্যা কখনো খরা, কখনো ভাঙ্গন তছনছ করছে পরিবারগুলোকে। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার বন্যার পানিতে ভাসছে প্রায় অর্ধলক্ষ্য মানুষ। লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা পাড়ের জনজীবন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবারগুলো আশ্রয় নিতে শুরু করেছে উঁচুস্থান, অন্যের উঠানে, স্কুলমাঠ ও বাঁধে। তাদের মাঝে রয়েছে চরম খাদ্য অভাব। এদিকে দিনের পর দিন কেটে গেলেও সরকারি ও বে-সরকারী ভাবেও ভানভাসী মানুষের মাঝে বিতরন হয়নি ত্রাণ সামগ্রী। ঘরবাড়িতে পানি। বন্যা এলাকার পরিবার গুলো জানান, বাহে নিচে ব্রহ্মপুত্র আর তিস্তা এই দুই নদীর দুই দিকের পানির ¯্রােত উপরে চকিতে ঘুমাই। রান্না পানির উপর করি কোন মতনে খাই। এছাড়াও রাতে ব্যাংঙ, পোকা-মাকর, গরু ছাগল মানুষ থাকছে এক সাথে এছাড়াও রয়েছে সাপের ভয়। কেউ রাত কাটাচ্ছে বাঁধে। কষ্টের যেন নেই শেষ। প্রতি ঘণ্টায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ার কারণে অনেকে সরিয়ে নিচ্ছে বসত বাড়ি। ছন্নছড়া হয়ে পড়েছে নদীরপাড়ের মানুষের জীবনযাপন। ব্রহ্মপুত্র পাড়ের রমনা খামার, টোনগ্রাম, সোনারী পাড়া, পুটিমারী, রাজারভিটা, সদ্দারপাড়া, বজরাদিয়ার খাতা, মাইচবাড়ী, নটারবান্দী, মুদাফৎ কলিকাপুর, হাসানের চর, ডাটিয়ারচর, নয়াবস, মজারটারী, মাঝিপাড়া, নাইয়ারচর, দুইশত বিঘা, খেরুয়ারচর, সহ প্রায় ৮৫টি গ্রামে বেশকিছু দিন ধরে পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার মানুষজন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার্ত পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সঙ্কট। চরম বিপাকে পড়েছে নারী ও শিশুরা। খাদ্যর সন্ধানে ছুটছে পরিবারগুলো একদিক হতে অন্য দিকে। এব্যাপারে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুদ্দৌলা জানান উদ্ধর্তন কর্তিপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং ইতি মধ্যে ৩২মে.টন জিআর চাল ও ১লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং ১লাখ টাকা ও ৩২ মে.টন চাল চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা করে পানিবন্দি ও ভাঙ্গন কবলিত মানুষজনের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। বাকি গুলোও দু’এক দিনের মধ্যে বিতরন করা হবে। চিলমারী পাউবো সুত্রে জানা গেছে চিলমারী পয়েন্টে ব্রক্ষপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপত সীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে একুশে সংবাদ ডটকম//এম//২৬.০৭১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1