সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বন্যার পরিবেশনায় বিমোহিত দিল্লীর সংগীতপ্রেমী

প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, মে ১৭, ২০১৬
একুশে সংবাদ: দিল্লীর রবীন্দ্র সংগীতপ্রেমীরা গতকাল আজাদ ভবনে এক অনন্য মুহুর্তে মিলিত হয়েছিলেন। উপমহাদেশের স্বনামধন্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনন্য পরিবেশনা সবাইকে বিমোহিত ও আপ্লুত করে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আইসিসিআর মিলনায়তনে ১৬ মে ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত রবীন্দ্র সন্ধ্যায় অনেক গুনীজন, বয়োবৃদ্ধ সংগীত বোদ্ধা, বিদেশী কূটনীতিক, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনা সদস্য ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অনন্য পরিবশেনায় সন্ধ্যাটি সূরের মূর্ছনায় শ্রোতাদের প্লাবিত করে। দিল্লীতে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক বাঙালী ও অবাঙালী সংগীতপ্রেমী ও সংগীত বোদ্ধার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রানবন্ত হয়ে ওঠে। শিল্পী জনপ্রিয় কিছু রবীন্দ্র সংগীত যেমন - সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে ইত্যাদির পাশাপাশি শ্রোতাদের অনুরোধের গানও পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত ভক্ত ও শ্রোতার ব্যাপক উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে সার্থক করে তোলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী ড. নাজমা হেপতুল্লা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী ভাষনে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য কর্ম আজো বাঙালী জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। প্রধান অতিথি তার ভাষণে বলেন রবীন্দ্রনাথকে কোনো স্থান বা কালে আবদ্ধ করা সম্ভব নয় - তিনি সর্বকালীন ও সর্বযুগের। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষকে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে, দু’দেশের মানুষকে আরো কাছাকাছি নিয়ে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। দিল্লীতে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে সাজানো এ ধরনের আয়োজন প্রশংসাযোগ্য যা বিপুল সংখ্যক শিল্পী ও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1