সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রাণ গেল পথচারীর চালকের কারণে

প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, মে ৪, ২০১৬
একুশে সংবাদ- গাবতলীতে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে–মুচড়ে যাওয়া গাড়ি । এদিকে ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে রাজধানীর গাবতলী ক্রসিং। এ পথ দিয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া করে লাখ লাখ মানুষ। বাসগুলো সেখানে নিয়ম না মেনে যাত্রী ওঠা-নামা করায়, পথচারীরাও ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। এ অনিয়মের কারণেই প্রতিদিন সেখানে কোনো না দুর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল মঙ্গলবারও এই অনিয়মের কারণে বাসচাপায় প্রাণ হারিয়েছেন আবদুল মান্নান (৫০) নামের এক পথচারী। আহত হয়েছেন চারজন। অথচ ব্যস্ত এই ক্রসিং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সামাল দিতে হয় ট্রাফিক বিভাগের মাত্র সাতজন সদস্যকে। মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পর ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমিনবাজার সেতু হয়ে গাবতলীর দিকে যাচ্ছিল রাজবাড়ী জেলা থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু চালক ক্রসিংয়ের মাঝখানের ব্যারিকেড ভেঙে ডান দিকে বাসটি নিয়ে যান। এ সময় ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়ানো দুই পথচারীকে ধাক্কা দেয় বাসটি। আর ক্রসিং-সংলগ্ন পূর্ব পাশের সড়কে দুটি প্রাইভেট কারকেও ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ি দুটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় আবদুল মান্নান ও মো. শাহীন নামের দুই পথচারী মারাত্মক আহত হন। প্রাইভেট কার দুটির ভেতরে থাকা চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত মোট ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর দুপুর ১২টার দিকে মারা যান মান্নান। তিনি গাবতলী এলাকার জাকের হোটেলের ব্যবস্থাপক ছিলেন। দায়িত্ব পালন শেষে সকালে বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনায় পড়েন মান্নান। দুটি প্রাইভেট কার ও বাসটি পরে দারুস সালাম থানায় আনা হয়। একটি প্রাইভেট কারের চালক আমিনুল ইসলাম বলেন ‘বাসটি বেশ গতি নিয়ে প্রথমে পথচারীদের ধাক্কা দেয়। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে আমি আমার গাড়ি বামে ঘুরিয়ে ফেলি। তাতে আমিসহ আমার গাড়ির চারজন প্রাণে বেঁচে যাই। তবে পাশের আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে বাসটি মাঝ রাস্তায় চলে আসে।’ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, পথচারী ও প্রাইভেট কার দুটিকে ধাক্কা দিয়ে চোখের পলকে বাসের চালক পালিয়ে যান। দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান বলেন, বাসটি আটক হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। গাবতলী ক্রসিং-সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দোকানের মালিক বলেন, এখানে অনিয়মই হচ্ছে নিয়ম। আমিনবাজার হয়ে ঢাকায় ঢোকার মুখে অনেক সময়ই বাসগুলোর চালকেরা নেমে যান। তখন বাসের চালকের আসনে বসেন তাঁর সহযোগী। উদ্দিন নামের ওই এলাকার দোকানমালিক বলেন, বাসগুলো ঢাকা ছাড়ার সময় ক্রসিংয়ের পূর্ব প্রান্তে সড়কের মাঝখানে দুই-তিন মিনিট থেমে যাত্রী উঠায়। এই কারণে যানবাহন আর মানুষের জটলা সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো জানান মাজার রোড মোড় থেকে আমিনবাজার সেতু পর্যন্ত সড়কে একটি আন্ডারপাস ছাড়া কোনো পদচারী-সেতু নেই। অথচ গাবতলী টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন আন্তজেলার বিভিন্ন রুটের সাড়ে তিন হাজার বাস একাধিকবার আসা-যাওয়া করে। মানিকগঞ্জগামী বাসসহ অনেক লোকাল বাস-মিনিবাস, টেম্পো আর প্রাইভেট কার চলাচল করে এখানে। ক্রসিংয়ের পূর্ব পাশের বেড়িবাঁধ দিয়ে বাবুবাজারের দিকে চলাচল করে অসংখ্য বাস-টেম্পো। গাবতলী এলাকায় ডিএমপির সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) খায়রুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, গরুর হাটকেন্দ্রিক চারজন কনস্টেবল, একজন সার্জেন্ট ও একজন ট্রাফিক পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া একজন কনস্টেবল থাকেন আমিনবাজার সেতুর ওপর। জনবল কম হওয়ায় তাঁরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। গাবতলী ক্রসিং এলাকায় পদচারী-সেতু নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে পদচারী-সেতু বানানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়ে থাকলে অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। একুশে সংবাদ ডট কম- ক/০৪-০৫-১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1