সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গুদামের ধারণক্ষমতা কম খোলা আকাশের নিচে সার

প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, এপ্রিল ২৭, ২০১৬
একুশে সংবাদ: লালমনিরহাটে বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ বেড়েছে। ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে সারের চাহিদাও। এ পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চলটিতে সারের বরাদ্দ বাড়লেও বাড়েনি স্থানীয় গুদামগুলোর ধারণক্ষমতা।এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার টনই ইউরিয়া সার। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে খোলা পড়ে থাকা এসব সার নষ্ট হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। লালমনিরহাটে কোনো সার কারখানা নেই। ফলে ক্রমবর্ধনশীল আবাদের জন্য চাহিদা মেটাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সার আনা হয় জেলাটিতে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ইউরিয়া সার সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সরবরাহ করে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার। প্রতিষ্ঠান দুটির সরবরাহকৃত সার জেলার সদর উপজেলার বাফার গুদামে এনে মজুদ করা হয়। পরে তা প্রয়োজন অনুযায়ী বিসিআইসি ও বিএডিসির লাইসেন্সধারী পরিবেশকদের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এভাবে খোলা আকাশের নিচে সার পড়ে থাকলে তার গুণাগুণ নষ্ট হয়, যা প্রভাব ফেলতে পারে ফসলের উৎপাদনেও। তাই দ্রুত এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সাফায়েত হোসেন বলেন, জেলা সার মনিটরিং ও বরাদ্দ কমিটির মাধ্যমে ডিলারদের সার বরাদ্দ দেয়া হয়। জেলায় ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার টন। এছাড়া এমওপি সাড়ে ৮ হাজার, টিএসপি ১০ হাজার ও ডিএপির চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টনের। কিন্তু এ অনুপাতে বাফার গুদামগুলোর ধারণক্ষমতা অনেক কম। বিএডিসির বাফার গুদামে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১ হাজার টনেরও বেশি সার মজুদ আছে। এ গুদামের ইনচার্জ আরিফ হোসেন বলেন, বিএডিসির বাফার গুদামে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার মজুদ রাখা হয়। এর ধারণক্ষমতা তিন হাজার টন। বর্তমানে এতে ধারণক্ষমতার চেয়ে ১ হাজার ১০০ টন সার বেশি মজুদ আছে। লালমনিরহাট বাফার গুদাম ইনচার্জ মো. হানিফ মিয়া বলেন, চলতি অর্থবছরের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৬৩৬ টন ইউরিয়া আনা হয়েছে এ অঞ্চলে। গুদামে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ও গুদাম ঘর সংকটের কারণে সাড়ে ৪ হাজার টন ইউরিয়া গুদামের বাইরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সারও মজুদ সংকটের কারণে নষ্ট হচ্ছে। বিসিআইসির গুদামের দায়িত্বে থাকা রসায়নবিদ আবুল হোসেন বলেন, বিসিআইসির অধীনে থাকা এ গুদামের ধারণক্ষমতা ৯ হাজার টন। কিন্তু এতে মজুদ আছে ২৪ হাজার টন ইউরিয়া সার। আর গুদামের বাইরে খোলা আকাশের নিচে আছে ৪ হাজার ৫৩৪ টন ইউরিয়া। ১৯৮৫ সালে নির্মাণের পর আর কোনো সংযোজন না ঘটায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সারের গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশকরাও এসব সার নিতে চাইছে না। একুশে সংবাদ ডটকম //এ// ২৭-০৪-১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1