সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাজারে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি পেঁয়াজ, ও সবজির

প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, এপ্রিল ১৫, ২০১৬
একুশে সংবাদ : গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছেে বেড়েছে পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগি ও সবজির দাম রাজধানীর খুচরা বাজারে শুক্রবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৮-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেয়াজ ৩০-৩৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। শুধু পেঁয়াজ নয়, বাজারে ব্রয়লার মুরগিসহ বেশিরভাগ সবজির দামও বেড়েছে। বৈশাখকে কেন্দ্র করে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬৫ ‍টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে বাজারে ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়। পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)। খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডালের ১০০ থেকে ১১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে চিনির দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। শুক্রবার প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ছোলার দামেও একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এদিকে বাজারে বেশির ভাগ কাঁচাপণ্যের দাম বেড়েছে। রাজধানীর স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ২৫- ৩০ টাকা), সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা), গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ২৫-৩০ টাকা), শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা), ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, ধুন্দুল ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, শালগম ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা), কচুর ছড়ি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ২৫-৩০ টাকা), লতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, টমেটো ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, করলা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, উচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৪০ টাকায়, শজনে ৬০ টাকায় এবং কাকরোল ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশাখকে কেন্দ্র করে পণ্যের চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে তা আবার সমন্বয় হবে বলে মনে করছেন তারা। কাপ্তানবাজারের কাঁচাপণ্য বিক্রেতা শিবু হাওলাদার জানান, বৈশাখ মাসের প্রথম দিন বেশির ভাগ আড়তে মালামাল আমদানি কম ছিল। কারণ এদিন সবাই বৈশাখী উৎসব নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমদানি কম থাকার কারণে পণ্যের দাম আড়তেই কিছুটা বাড়তি ছিল। তাই খুচরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দু’চার দিনের মধ্যে তা সমন্বয় হবে বলে মনে করেন তিনি। খুচরা বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়। কাঁচাপণ্যের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামবাজার কাঁচাপণ্য আড়তের ব্যবসায়ী নেতা হাজী শুক্কুর আলী বলেন, ‘কিছু কিছু সিজন ঢাকঢোল পিটিয়ে আমাদের দেশে আসে। আর এর মধ্যে বৈশাখ একটি। এটি আসার আগেই মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। ইলিশের দাম থাকে দশগুণ বেশি। তা ছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীরাও এ সুযোগ কাজে লাগায়। এতে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে দু’একদিন আড়তে কাঁচামালা আমদানি কম ছিল বলে দাম সামান্য বাড়তি। আমদানি বাড়লে দাম আগের জায়গায় চলে যাবে। একুশে সংবাদ /এস/১৫-০৪-১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1