সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন

প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, এপ্রিল ১২, ২০১৬
আল মাহামুদুল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : প্রচন্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন। টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই! শিশুরা ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। গরমের সঙ্গে পাল¬া দিয়ে শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। তীব্র গরম আর অসহনীয় তাপমাত্রার কারণে দিনের বেলায় শহরে লোকজনের চলাচল অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ক্লান্তি দূর করতে কেউ পান করছেন ডাবের পানি, কেউবা খাচ্ছেন শসা, ক্ষীরা। তাই প্রচন্ড গরমে আনারস, ঠান্ডা পানীয় আর ডাবের পানি বিক্রি বেড়ে গেছে বহুগুন। লাচ্ছি জুস আর কোমল পানীয়ের ব্যবসাও বেশ জমজমাট। ঠাকুরগাঁও শহরের মোড়ে মোড়ে ঠান্ডা পানির লেবুর শরবত, আনারস বিক্রি করছেন নিম্নবিত্ত মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। পিপাসায় কাতর মানুষ রাস্তার ধারের এসব খাবার খেয়ে আবার অসুস্থও হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। গরমে এর সাথে যোগ হয়েছে ডায়রিয়া। হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, আগামী তিন-চার দিনেও বৃষ্টির দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এমনকি তাপমাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলায় তাপমাত্রা রয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বৃষ্টি হলেই গরম কমে যাবে। এদিকে অতিরিক্ত গরমের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া হচ্ছে। এমন অবস্থা যে, ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ঠাকুরগাঁও সদও হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ঘরের পরিবেশ যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা গেলে ডায়রিয়া ও শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। এ ছাড়া গরমে শিশুদের বেশ সাবধানে রাখতে হবে। রোদে যাতে বেশি ঘোরাঘুরি না করে তা দেখতে হবে। ঘেমে গেলে শরীর মুছে দিতে হবে। অধিক ঠান্ডা পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার অথবা হালকা ঠান্ডা পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি সুতির হালকা কাপড় পরতে হবে। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাঃ নজরুল ইসলাম প্রচন্ড এই গরমে সবাইকে প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘সুস্থ থাকতে হলে রাস্তার ধারে ফুটপাতে খোলা জায়গায় বিক্রি করা শসা, আখের রস, আনারস, লেবুব শরবতসহ সব ধরনের খোলা পানীয় পান থেকে বিরত থাকতে হবে। গরমে বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। একুশে সংবাদ /এস/১২-০৪-১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1