সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সন্তানকে সৎ, আদর্শবান ও উত্তম চরিত্রে গড়ে তোলা পিতা-মাতার করণীয়

প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, এপ্রিল ৫, ২০১৬
একুশে সংবাদ : সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট নিয়ামত এবং আমানত। যার কারণে সন্তানকে সৎ, আদর্শবান ও উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান করে গড়ে তোলার দায়িত্ব সর্ব প্রথম পিতা-মাতার উপর। তারা এই দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বা আমানতের খেয়ানত করলে মহান আল্লাহর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আজকের যারা শিশু তারাই আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালক, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল এবং দেশের নাগরিক। সুতরাং তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তোলার উপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই আদর্শ সন্তান গঠনে নিন্মোক্ত বিষয় সমূহ লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ: ১) আদর্শ সন্তানের জন্য পিতা-মাতার সৎ ও আদর্শবান হওয়া অপরিহার্য। ২) সন্তানদের জন্য আল্লাহর নিকট দুয়া করা। ৩) শিশুদেরকে ভুত-প্রেত, চোর-ডাকাত ইত্যাদির কথা বলে ভয় না দেখানো। ৪) শিশুদেরকে অন্যদের সামনে অপমান বা হেয় প্রতিপন্ন না করা। ৫) খারাপ বা অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করে তাকে সম্বোধন না করা। যেমন, নির্বোধ, অপদার্থ, গাধা, গরু, ছাগল ইত্যাদি। ৬) কোন ক্ষেত্রে ভুল হলে নম্র ও ভদ্রভাবে ভুল সংশোধন করা (বিশেষ করে প্রথম বার) ৭) সন্তানদের সাথে সমতা রক্ষা করা (স্নেহ, ভালবাসা বা কোন কিছু দেয়া..ইত্যাদি ক্ষেত্রে) ৮) দশ বছর বয়স হলে তাদেরকে আলাদা বিছানায় বা আলাদা কক্ষে রাখা। ৯) তাদের নিকট দাম্পত্য জীবনের বিষয়াদী গোপন রাখা (সন্তান ছোট হলেও) ১০) শিশুদের সামনে মায়ের পাতলা, টাইট বা এমন পোশাক পরিধান না করা যাতে তার গোপনাঙ্গ সমূহ ফুটে উঠে। ১২) শিশুদেরকে অশ্লীল, নোংরা ছবি বা ফিল্ম দেখা কিংবা খারাপ গল্প, উপন্যাস ম্যাগাজিন ইত্যাদি পড়ার সুযোগ না দেয়া। ১৩) সাত বছর বয়স পূর্ণ হলে নামাযের আদেশ দেয়া এবং দশ বছর বয়স থেকে নামায না পড়লে হালকা ভাবে প্রহার করা। ১৪) সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা, অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া, অসহায়কে সাহায্য করা, মেহমানকে সম্মান করা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের প্রশিক্ষণ দেয়া। ১৫) মিথ্যা, গালাগালি, নোংরা ও নিচু মানের শব্দ ব্যবহার না করতে অভ্যস্ত করা। ১৬) ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান দান করা। যেমন, ঈমান ও ইসলামের রোকন সমূহ, আল্লাহর ভয়, পাঁচ ওয়াক্ত সলাত, কুরআন পড়া, প্রয়োজনীয় দুয়া ও জিকির সমূহ ইত্যাদি। ১৭) অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা। যেমন, পিতা-মাত, ভাই-বোন, প্রতিবেশী, শিক্ষক, ক্লাসমেট, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি। ১৮) সামাজিকতা শিক্ষা দেয়া। যেমন, সালাম দেয়া, বৈঠকে বসার ভদ্রতা, মানুষের সাথে কথা বলার ভদ্রতা, কারো বাড়িতে প্রবেশের আগে অনুমতি ইত্যাদি। ১৯) কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ইত্যাদি টেকনোলোজি ব্যবহারের আদব শিক্ষা দেয়া এবং এগুলোর অন্যায় ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা। ২০) সর্বদা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা যাতে তারা তাদের যে কোন সমস্যা পিতা-মাতাকে বলতে পারে। মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন, প্রত্যেক পিতা-মাতাকে সঠিকভাবে তাদের সন্তান-সন্তুতি প্রতিপালনের তাওফীক দান করেন। যারা হবে পিতা-মাতার জন্য চক্ষু শিতলকারী, দেশ ও সমাজের জন্য উপকারী এবং পরকালে পিতা-মাতার নাজাতের ওসীলা। আল্লাহই তাওফীক দান কারী। একুশে সংবাদ /এস/০৫-০৪-১৬

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1