সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রেল পুলিশের ক্ষমতা বাড়লো

প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
জাতীয় সংসদের চলমান নবম অধিবেশনে পাস হওয়া তিনটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার বিল তিনটিতে তিনি স্বাক্ষর করায় এগুলো আইনে পরিনত হলো। বিল তিনটি হলো- বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল-২০১৬, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল-২০১৬ এবং উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ বিল-২০১৬। জাতীয় সংসদের গণসংযোগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে দশম অধিবেশনের নবম সংসদে বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল, ২০১৬ বিল উত্থাপিত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করেন। আইনের অধীনে জারিকৃত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার না দিয়ে ‘উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ আইন, ২০১৬’ পাস করে জাতীয় সংসদ। গত ১ ফেব্রয়ারি সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহজনক যে কাউকে গ্রেপ্তারের অধিকার দিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০১৬ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে এ বিলটি পাস করা হয়। এর আগে কণ্ঠ ভোটে বিলটির ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। পরে সংসদীয় কমিটির স্থিরকৃত আকারে বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। বিলে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হবে। বাহিনীর তত্ত্বাবধান সরকারের ওপর ন্যাস্ত থাকবে। বাহিনীর প্রধান হবেন চিফ ইন্সপেক্টর। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন ও অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালন করতে পারবে। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ব্যতীত সন্দেহবশত বা রেলওয়ে সম্পদ চুরি বা ক্ষতি সাধনের অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য রেলওয়ের সীমানার মধ্যে আত্মগোপন করার প্রস্তুতি নেয়ার সন্দেহে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। বাহিনীর সদস্যরা ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না বা কোনো মিছিল বা সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না। বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য কোনো সংবাদ, চিঠি বা দলিল প্রকাশে সহযোগিতা করবেন না। এছাড়া বাহিনীর কোনো সদস্য অস্ত্র গোলাবারুদ, পোশাক পরিচ্ছেদ ইচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট করলে বা হস্তান্তর করলে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বাহিনীর কোনো সদস্য অবাধ্য ও শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানোর দায়ে দোষী হলে আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত, অপসরাণ বা বাধ্যতামূলক অপসারণ করতে পারবেন। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ দ্বারা ১৯৭৬ সালে ‘দ্যা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬’ কার্যকারিতা হারায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও জনগণের আইনানুগ অধিকার বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে নতুন আইন প্রণীত হলো।  

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1