সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন বাঁধ-স্পার ও তীর ধসের আশংকা

প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটের ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে যমুনা নদীর ৩টি পয়েন্ট থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পার ও নদীর তীর ধসের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা যায়, ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান স্পারের দক্ষিণ পাশে, ভান্ডারবাড়ী গ্রামে এবং ভূতবাড়ী গ্রাম থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এরমধ্যে বানিয়াজান ও ভান্ডারবাড়ী এলাকা থেকে বালু তুলছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার লিয়াকত আলী। অপরদিকে ভূতবাড়ী গ্রাম থেকে বালু তুলছেন কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম। যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন তিনি। অন্যদিকে ঠিকাদার লিয়াকত আলী ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে যমুনা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করছেন। ওই প্রকল্পের সিসি ব্লক ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ তৈরীর জন্য তার প্রতিষ্ঠান যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলছেন। বানিয়াজান, ভান্ডারবাড়ী ও ভূতবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বালু উত্তোলনের স্থানে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে তীরবর্তি এলাকা ধসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্পার ও তীরবর্তি এলাকা ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে। বালু উত্তোলনে সরকারি কোন অনুমোদন নেই। যমুনা নদী থেকে এ ভাবে অবাধে বালু উত্তোলন অবৈধ। লিয়াকত আলী কনষ্ট্রাকশনের ম্যানেজার টিটু জানান, বস্তা ভর্তি করার জন্য বানিয়াজান এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ভান্ডারবাড়ী গ্রাম থেকে আপাতত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভান্ডারবাড়ী গ্রামের একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন শুক্রবারেও ভান্ডারবাড়ী পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশিদ বালু উত্তোলনের তথ্য স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, যমুনা নদীর চরের পাশ থেকে কাটার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। ওই বালু ভলগেটের মাধ্যমে তীরে আনা হচ্ছে। এতে নদীর তীর ধসের কোন সম্ভাবনা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য যমুনা নদী থেকে বালু সংগ্রহ করছে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। ইতিপূর্বে স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বালু উত্তোলনের বিষয়টি কেউ অবগত করেনি। খোঁজ নিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1