সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মানিকের ,দাবি প্রধান বিচারপতি খালেদার এজেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বিএনপি ও খালেদা জিয়ার এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন দাবি করে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সোমবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের বাইরে মাজার গেট সংলগ্ন বটতলায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এক পর্যায়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গতকাল (রোববার) সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আমার বিষয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। আমার বক্তব্যকে টুইস্ট করা হয়েছে। গতকাল আমি সংবাদ সম্মেলনে করিনি।’ তবে অনেক ‘নতুন তথ্য’ নিয়ে সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান তিনি। বার সভাপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রধান বিচারপতির ‘মতে’ আপনার সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখেন, চিফ জাস্টিসতো নিজেই বলেছেন, তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সাকা চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে মিটিং করেছেন। এতে করে কি বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না?’ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ চলাকালীন কোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী একটি প্রেস কনফারেন্স করেন।যদিও সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স নজিরবিহীন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সমাপ্ত হওয়া রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে না। এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিমকোর্ট বলেন, ওই বক্তব্য প্রধান বিচারপতির গোচরে এলে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন যে, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি। সেই দিনই সকালে আপিল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অবসরের পর তার লেখা পূর্ণাঙ্গ রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিচারপতি মানিকের তিক্ততার প্রকাশ্য এসেছে। আপিল বিভাগ থেকে গত অক্টোবর মাসে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর তার হাতে থাকা রায়গুলো আপিল বিভাগ গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি বরাবরে চিঠি দেন। এদিকে সোমবার সকালে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রেস কনফারেন্স করা যাবে না। এরপর কোর্টের ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে কোর্টের বাইরে মাজার গেটে বটগাছের নিচে তিনি কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সুখবর, আমি আপনাদের গতকাল বলেছি বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সাহেব কালকে সন্ধ্যায় উনি রায় গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন। এটা খুশির খবর। আমার হাতে লেখা রায় ওনারা গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন। এটা যদি প্রধান বিচারপতি না করতেন। তাহলে অনেক আগে রায় লেখা শেষ হয়ে যেতো।’ তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ফাইলগুলো তার কাছে যাবে। ওনার সাথে আমি আলাপ করেছি। উনি এটা গ্রহণ করবেন বেল আমাকে জানিয়েছেন। এখনি যাচ্ছি তার কাছে যাওয়ার জন্য।’ এরপরেই তিনি সুপ্রিমকোর্টের ভিতরে প্রবেশ করে ১৫টি রায় ও ৭০টি আদেশের কপি জমা দেন। সুপ্রিমকোর্টের বক্তব্যের জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রায় দিয়েছি এটা বলিনি, রায় নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু উনি (বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব) নিতে অপারগ।’ রোববার আদালত প্রাঙ্গণে প্রেসব্রিফিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল কেনো সংবাদ সম্মেলন করিনি। প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠির পর সাংবাদিকরা আমার কাছে এসেছে। তখন আমি বক্তব্য দিয়েছি।’

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1