সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে সাবলম্বী শ্রী সুকুল চন্দ্র

প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
একুশে সংবাদ: ২০১০ সালের মে মাসের ১২ তারিখ ভিডিপি সদস্য শ্রী সুকুল চন্দ্র মহন্তের জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে তিনি আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক গাইবান্ধা শাখা হতে ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জুয়েলারি ব্যবসা শুরু করেন। তার বেকার জীবনে কর্মসংস্থানের আর্বিভাব হয়। তাই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নামও দেন আর্বিভাব জুয়েলার্স। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুরু হয় সামনের দিকে পথ চলা। নতুন জীবনের এ গল্প শুরু হয় ২০০৫ সালের ৮ জানুয়ারি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ শামছুর রহমান মন্ডলের অনুপ্রেরণায় উত্তর খোলাহাটি গ্রামে অনুষ্ঠিত ১০ দিন মেয়াদী গ্রামভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিক উক্ত ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বক্তার উৎসাহমূলক বক্তব্যে মনের মধ্যে অদম্য ইচ্ছা শক্তি তৈরি হয়। ৮ম শ্রেণীতেই কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের পাঠ চুকিয়ে বিভিন্ন জুয়েলারির দোকানে কারিগর হিসাবে কাজ করতে থাকেন। এক সময় অন্যে দোকানে নয় নিজে দোকানে কাজ করার তাগিদে ২০১০ সালে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক হতে আনসার ও ভিডিপি সদস্য হওয়ায় খুব সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রী সুকুল চন্দ্র মহন্ত । প্রথম ধাপে ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে গাইবান্ধার কাচারী বাজারের গফুর মার্কেটে আর্বিভাব জুয়েলার্স নামে জুয়েলারি ব্যবসায় শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালে ৯ জানুয়ারি পূর্বের ঋণ শোধ করে আবার পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সে ঋণ শোধ হয়ে গেলে আবার ২০১২ সালে মার্চে এক লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ব্যবসায় বেশ ভাল চলায় তা আরো পুজি বৃদ্ধি করতে ২০১২ সালে জুনে আরো ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে আবারও এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ব্যবসায়িক সাফল্যে সকল ঋণ শোধ করে ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করতে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তিন লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এখন শুধু এই ঋণটিই কিস্তি ভিত্তিতে পরিশোধ করছেন। তিনি নিয়মিত ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন। ২০১২ সালের ২১ মার্চ আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক হতে তাকে এসএমই খাতে প্রতিষ্ঠিত ও সম্ভাব্য উদ্যোক্তা হিসাবে সনদপত্র প্রদান করা হয়। শ্রী সুকুল চন্দ্র মহন্ত ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। তিনি তার ব্যবসায় হতে বাবা-মা ও স্ত্রী পুত্রকে লালন-পালন করে আসছেন।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1