সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শশা যে ১২ টি অসুখের ঔষধ হিসেবে কাজ করে

প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
শশা একটি উপকারি সবজি। শশা রান্না ছাড়াই সালাদ হিসেবে বা এমনিই খাওয়া যায়। এই শশার ভেষজ গুনের শেষ নেই। সৌন্দর্য পিপাসু নারী-পুরুষেরা শশা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে শশার বিকল্প নেই। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক শশার গুণাগুণ। পানিশূন্যতা দূর করে সারাদিন কাজের ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না অনেকেরই। এই পানি ঘাটতি দূর করতে শশার তুলনা হয় না। শশায় ৯০ ভাগ পানি থাকায় শরীরের প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর করে শরীর সুস্থ রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে নিয়মিত শশা খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী শশা। শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীর ভালো রাখে, সেইসঙ্গে কিডনি থাকে সুস্থ। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে শশা শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’র চাহিদা পূরণ করে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। শশার সবচেয়ে ভালো পুষ্টি পেতে হলে সবুজ শাক এবং গাজরের সঙ্গে খাওয়া ভালো। ত্বকের বন্ধু শশায় উচ্চমানের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকন রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শশা নখ ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। চুল তাড়াতাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। হজমে সহায়তা করে ও ওজন কমায় শশাতে রয়েছে প্রচুর পানি এবং অল্প পরিমান ক্যালরি। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শশা আদর্শ খাবার। শশা খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়। প্রতিদিন শশা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। চোখ ভালো রাখবে শশা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে রাখলে চোখের ক্লান্তি দূর হয়, সেইসঙ্গে চোখের জ্বালাপোড়া দূর করে চোখ ভালো রাখে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে শশা মুখের জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। শশায় বিদ্যমান ফাইটোক্যামিকেলস মুখের ভেতরের জীবানুকে ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। মাথাব্যথা দূর করে যাদের সকাল বেলা মাথাব্যথা হয় তারা যদি সকালে উঠেই কয়েক টুকরা শশা খান তাহলে তা দূর হতে পারে। শশার উপকারিতা : শরীরকে ঠান্ডা রাখতে : ফাইবার ও ফ্লুইডে সমৃদ্ধ শশা শরীরে ফাইবার ও ওয়াটার ইনটেক বাড়াতে সাহায্য করে। গরমের দিনে শশার রসের সাথে সেলেরিরি জুস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটা শরীরের তাপমাত্রা নরমাল রাখতে সাহায্য করবে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রনে : ভিটামিন সি, সিলিকা, পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম ও ফাইবার হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে শশা। তাছাড়া শশায় রয়েছে স্টেরল নামের একধরণের উপাদান যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। স্টেরল মুটিয়ে যাওয়া রোধ করতেও সাহায্য করে। কমে যায় অ্যাসিডিটি : হজম ও কনস্টিপেশনের সমস্যার সমাধানে ডায়েটে শশা রাখতে পারেন। কারণ শশাতে আছে এরেপসিন নামের আনজাইম। আলসার গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও তাজা শশার রস উপকারী। শরীরের পিএইচ সমতা বজায় রাখে শশা। সুস্থ থাকে বৃক্ক : বৃক্ক(কিডনি), ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় ডায়েটে শশা রাখতে পারেন। শশা বা শশার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। টিস্যুর উন্নয়নে : ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও শশা খুব ভাল কাজ করে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে শশার স্লাইস, জুস প্রভৃতি বেশ কাজে দেয়। শশায় উপস্থিত সিলিকা মালস, কার্টিলেজ, লিগামেন্টের কানেকটিভ টিস্যু গড়ে ওঠে। খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ শশা নখ, দাঁত ও মাড়ির জন্য ভাল।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1