সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

৪ জঙ্গির বিচার শুরু

প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
ঢাকা : জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা ও আইএসের ‘সমন্বয়ক’ শাফায়াতুল কবীরসহ চার জঙ্গির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিনের আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই বিচার শুরু হয়। অভিযোগ গঠন শেষে বিচারক আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। এদিন চার্জ শুনানিতে প্রধান আসামি শাখয়াতুল কবীর ছাড়া অন্য তিনজন মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা অগ্রাহ্য করেন। দায়মুক্তির আবেদনকারী ওই তিন আসামি হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। সব আসামিই জেলহাজতে রয়েছেন। চলমান গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাত করে খিলাফত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তৃণ অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠা ‘আইএসের সমন্বয়ক’ শাখায়াতুল কবীরসহ সংগঠনের চারজনের বিরুদ্ধে গত ১৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবির পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান। অভিযোগপত্রের মাধ্যমে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও জব্দকৃত আলামত, সাক্ষ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, উল্লেখিত আসামিরা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। মামলার এক নম্বর আসামি শাখায়াতুল জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক। সে পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জেএমবির পাশাপাশি আইএসআইএস’র সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। এসব অভিযুক্তরা জেএমবি ও আইএসআইএস’র মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গোপনে বিভিন্ন স্থানে ভিডিও প্রদর্শন ও জিহাদি লিফলেট বিতরণ করেছে। এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে অভিযোগপত্রে জানা যায়, প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ক্ষতিসাধন, হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের ও যোগদানের অপরাধও প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার কথা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক শাখায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস’র দিকনির্দেশনা মোতাবেক সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হলে সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওইসময় তাদের কাছ থেকে আইএসআইএস সম্পর্কিত জিহাদি প্রচারপত্র, ল্যাপটপে আইএসআইএস সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1