সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিষণ্ন মুখে কারাগার ছাড়লো সাকার পরিবার

প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
ঢাকা : বিভিন্ন সময় নানান ‘দম্ভোক্তি’ করে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিলেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। আজকের চিত্রটা ঠিক যেন তার উল্টা। সাকার সঙ্গে দেখা করে পরিবারের সদস্যরা কারাগার থেকে বেরোলেন বিষণ্ণ মনে। তবে এসময় বেশ স্বাভাবিকই ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তারা সাকা চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। কারাগারের রজনীগন্ধা সেলে দেখা হয় সাকার স্বজনদের। এসময় সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও কারো সঙ্গেই কথা বলেননি তারা। এর আগে সাকার সঙ্গে দেখা করতে ১২টা ২২ মিনিটে কারাগারে পৌঁছায় তার পরিবারের ১৫ সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত অনুমতি মেলে ৮ জনের। বাকিদের কারাগারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরিবারের অনুমতি পাওয়া সদস্যরা হলেন- সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে ফায়েজ কাদের চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী, পুত্রবধূ তানিয়া ‍খন্দকার, সাকার বোন জোবাইদা মনোয়ারা ও হাসিনা কাদের চৌধুরী, সাকার মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী ও তার স্বামী জাফর খান এবং সাকার চাচাত ভাই ইকবাল হোসেন। বেলা ১২টার দিকে সাকার ধানমণ্ডির বাসা থেকে রওনা হন তারা। বেলা ১২টা ২২ মিনিটের দিকে সাকার স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ, নিকট আত্মীয়সহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান। তিনটি গাড়িতে করে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আসেন। এদিকে সাকাসহ দুই যুদ্ধাপরাধীর রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় বুধবার থেকেই কারাগারের আশপাশে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর সঙ্গে মুজাহিদের মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই একসঙ্গে যায় ট্রাইব্যুনালে। এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়। তবে আসামিপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করায় ফাঁসির রায় কার্যকর প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে যায়; মৃত্যুপরোয়ানা জারির মধ্যে দিয়ে যা শুরু হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে সে থেকে নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করেন মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী। গতকাল বুধবার সাকা চৌধুরীর পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে সাকা চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে দু’জনেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1