সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দিনাজপুরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে ১৩ প্রার্থী

প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
আসন্ন পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ থাকলেও বিরোধীদলে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীদের কর্মকান্ড তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। তবে কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন শুভেচ্ছা ব্যানারে ছেয়ে ফেলেছে রাস্তার অলি-গলি। ১৮৬৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে দিনাজপুর পৌরসভা যাত্রা শুরু করে। ২৪.৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভার মোট ২৩টি মৌজায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। সেই সময়ে মেয়র পদে বিজয়ী হন জেলা বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা সফিকুল হক ছুটু। তিনি ২ দফায় ২০০৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চেয়ারম্যান/মেয়র ছিলেন। আর ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবু। দিনাজপুর জেলা মূলত বিএনপি’র ঘাটি হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। বিরোধীদল নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি দিনাজপুরে। তাছাড়া তার বড় বোন খুরশীদ জাহান হক ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী। সেই সময়ে জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের পাশাপাশি টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দলের নেতাদের ইমেজের বিরুদ্ধে। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলা সদরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা বিএনপি’র উন্নয়নকেও ছাপিয়ে গেছে বলে অনেকের অভিমত। বিভিন্ন এলাকায় দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার পাশাপাশি বর্তমান জনগনের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করছেন দলটির রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বকারী নেতারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে মানুষের দোড়-গড়ায় পৌছানো ও সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করায় আ’লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আর সদর উপজেলা আ’লীগের সাথে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ৫ বছর যাবত মেয়র পদে থাকলেও প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা এবং জেলা শহরের পৌরসভা হিসেবে তেমন একটি উন্নয়ন করতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় সম্পৃক্ততাও ছিল খুব কম। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় মামলা-মোকাদ্দমায় জড়াননি তিনি। দলীয় মনোনয়ন পাবার বিষয়ে তার সম্ভাবনা থাকলেও দলের কিছু নেতাকর্মীর মাঝে তাকে নিয়ে বিরুপ মনোভাব রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়ন পাবার দৌড়ে রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান জুয়েল। এর আগে তিনি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মনোনয়ন পাবার আশায় তিনি বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। আর বিএনপি’র নেতা হিসেবে তার সকল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততাও চোখে পড়ার মত। এই পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন বিএনপি’র আরেক নেতা ও সাবেক প্যানেল মেয়র আলতাফ উদ্দিন। তিনি গত নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। এরপর থেকেই তিনি মেয়র পদে বিভিন্ন স্থানে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা যায় তার অংশগ্রহন। দীর্ঘ সময় ধরে পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ফয়সল হাবিব সুমন। তিনি গত নির্বাচনের পর থেকেই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রচারনা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে তার প্রচারণামূলক ব্যানার। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে শোনা যাচ্ছে তিনি এবারে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এদিকে আ’লীগ থেকে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন শহর আ’লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশপাশি পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন এবং এখন পর্যন্ত এই দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। দিনাজপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের আ’লীগের নেতাকর্মীদের সমর্থন রয়েছে তার দিকে। তাছাড়া আ’লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন তিনি। ইতিমধ্যেই তাকে দলীয় মনোনয়ন দিতে শহর আ’লীগের বর্ধিত সভায় সমর্থন দেয়া হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে নাম রয়েছে সাবেক পৌর আ’লীগের সভাপতি তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরীর। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এর আগেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সে সময় নিরঙ্কুশভাবে দলীয় সমর্থন ছিল না তার পক্ষে। প্রচার-প্রচারনায় না থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন কোতয়ালী আ’লীগ নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন। এর আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ছিলেন ও দীর্ঘ সময় ধরে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের নেতাকর্মীদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতার নাম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনেও সময়েও ছিল। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি উঠলে সর্বশেষ তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। বিভিন্ন কার্যক্রমে তার অবদান থাকায় তাকে এবার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আ’লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে। আ’লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় রয়েছেন জেলা আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাজী তাজউল সামস প্রিন্স। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। গত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এবারে দলীয় মনোনয়ন পাবার বিষয়ে আগ্রহী তিনি। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে আগ্রহী হলেও মেয়র নির্বাচিত হলে দলের জন্য নয় সকলের জন্য মেয়র হবেন এমন প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন তিনি। আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বজলুর হক। এর আগে তিনি দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী সাবেক পৌর মেয়র সফিকুল হক ছুটু। তিনি এক সময়কার জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। তবে বর্তমান পর্যায়ে তিনি স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তিনি আওয়ামী ঘরনার সংগঠন উদীচী’র সাথে যুক্ত। পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল। এর আগে আহমেদ শফি রুবেল জাতীয় নির্বাচন ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। তবে সেইভাবে ভোটারদের সমর্থন পাননি তিনি। এছাড়াও জামায়াত থেকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন জেলা জামায়াতের সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মাইনুল আলম। আর নিজেকে জানান না দিলেও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সৈয়দ মোকাদ্দেক হোসেন লাবুর। প্রচারনার দৌড়ে রয়েছে জেলা জাগপার সভাপতি আলহাজ্ব রকিবউদ্দিন চৌধুরী মুন্নাও। তবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিরা জানান, দলীয় ভাবে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই তারা কাজ করবেন। তাদের মনোনয়ন চাওয়া ও পাওয়া একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি লুৎফর রহমান মিন্টু বলেন, হঠাৎ করে সরকার দলীয় ব্যানারে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছে, তাদের যুক্তির সাথে দিনাজপুরের নেতাকর্মীরাও একমত। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে যাবে। দিনাজপুরে পৌরসভা নির্বাচনের তৎপরতা বিএনপি’র পক্ষ থেকে এখনও শুরু হয়নি। যেহেতু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে রয়েছেন, সেহেতু নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত তিনি দেশে আসার পর হবে। আমরাও সেই অপেক্ষাতে রয়েছি। কেন্দ্র এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা নির্বাচন ও মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। তবে তৃণমুলে রয়েছে অনেক ক্ষোভ ও হতাশা। তারা বর্তান মেয়র বিএনপির নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গর আলমের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নয়। দিনাজপুরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে ১৩ প্রার্থী ঃ আসন্ন পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ থাকলেও বিরোধীদলে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীদের কর্মকান্ড তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। তবে কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন শুভেচ্ছা ব্যানারে ছেয়ে ফেলেছে রাস্তার অলি-গলি। ১৮৬৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে দিনাজপুর পৌরসভা যাত্রা শুরু করে। ২৪.৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভার মোট ২৩টি মৌজায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। সেই সময়ে মেয়র পদে বিজয়ী হন জেলা বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা সফিকুল হক ছুটু। তিনি ২ দফায় ২০০৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চেয়ারম্যান/মেয়র ছিলেন। আর ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবু। দিনাজপুর জেলা মূলত বিএনপি’র ঘাটি হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। বিরোধীদল নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি দিনাজপুরে। তাছাড়া তার বড় বোন খুরশীদ জাহান হক ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী। সেই সময়ে জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের পাশাপাশি টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দলের নেতাদের ইমেজের বিরুদ্ধে। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলা সদরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা বিএনপি’র উন্নয়নকেও ছাপিয়ে গেছে বলে অনেকের অভিমত। বিভিন্ন এলাকায় দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার পাশাপাশি বর্তমান জনগনের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করছেন দলটির রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বকারী নেতারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে মানুষের দোড়-গড়ায় পৌছানো ও সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করায় আ’লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আর সদর উপজেলা আ’লীগের সাথে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ৫ বছর যাবত মেয়র পদে থাকলেও প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা এবং জেলা শহরের পৌরসভা হিসেবে তেমন একটি উন্নয়ন করতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় সম্পৃক্ততাও ছিল খুব কম। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় মামলা-মোকাদ্দমায় জড়াননি তিনি। দলীয় মনোনয়ন পাবার বিষয়ে তার সম্ভাবনা থাকলেও দলের কিছু নেতাকর্মীর মাঝে তাকে নিয়ে বিরুপ মনোভাব রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়ন পাবার দৌড়ে রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান জুয়েল। এর আগে তিনি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মনোনয়ন পাবার আশায় তিনি বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। আর বিএনপি’র নেতা হিসেবে তার সকল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততাও চোখে পড়ার মত। এই পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন বিএনপি’র আরেক নেতা ও সাবেক প্যানেল মেয়র আলতাফ উদ্দিন। তিনি গত নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। এরপর থেকেই তিনি মেয়র পদে বিভিন্ন স্থানে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা যায় তার অংশগ্রহন। দীর্ঘ সময় ধরে পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ফয়সল হাবিব সুমন। তিনি গত নির্বাচনের পর থেকেই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রচারনা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে তার প্রচারণামূলক ব্যানার। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে শোনা যাচ্ছে তিনি এবারে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এদিকে আ’লীগ থেকে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন শহর আ’লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশপাশি পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন এবং এখন পর্যন্ত এই দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। দিনাজপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের আ’লীগের নেতাকর্মীদের সমর্থন রয়েছে তার দিকে। তাছাড়া আ’লীগের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন তিনি। ইতিমধ্যেই তাকে দলীয় মনোনয়ন দিতে শহর আ’লীগের বর্ধিত সভায় সমর্থন দেয়া হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে নাম রয়েছে সাবেক পৌর আ’লীগের সভাপতি তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরীর। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এর আগেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সে সময় নিরঙ্কুশভাবে দলীয় সমর্থন ছিল না তার পক্ষে। প্রচার-প্রচারনায় না থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন কোতয়ালী আ’লীগ নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন। এর আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ছিলেন ও দীর্ঘ সময় ধরে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের নেতাকর্মীদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতার নাম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনেও সময়েও ছিল। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি উঠলে সর্বশেষ তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। বিভিন্ন কার্যক্রমে তার অবদান থাকায় তাকে এবার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আ’লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে। আ’লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় রয়েছেন জেলা আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাজী তাজউল সামস প্রিন্স। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। গত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এবারে দলীয় মনোনয়ন পাবার বিষয়ে আগ্রহী তিনি। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে আগ্রহী হলেও মেয়র নির্বাচিত হলে দলের জন্য নয় সকলের জন্য মেয়র হবেন এমন প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছেন তিনি। আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বজলুর হক। এর আগে তিনি দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী সাবেক পৌর মেয়র সফিকুল হক ছুটু। তিনি এক সময়কার জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। তবে বর্তমান পর্যায়ে তিনি স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তিনি আওয়ামী ঘরনার সংগঠন উদীচী’র সাথে যুক্ত। পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল। এর আগে আহমেদ শফি রুবেল জাতীয় নির্বাচন ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। তবে সেইভাবে ভোটারদের সমর্থন পাননি তিনি। এছাড়াও জামায়াত থেকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন জেলা জামায়াতের সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মাইনুল আলম। আর নিজেকে জানান না দিলেও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সৈয়দ মোকাদ্দেক হোসেন লাবুর। প্রচারনার দৌড়ে রয়েছে জেলা জাগপার সভাপতি আলহাজ্ব রকিবউদ্দিন চৌধুরী মুন্নাও। তবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিরা জানান, দলীয় ভাবে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই তারা কাজ করবেন। তাদের মনোনয়ন চাওয়া ও পাওয়া একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি লুৎফর রহমান মিন্টু বলেন, হঠাৎ করে সরকার দলীয় ব্যানারে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছে, তাদের যুক্তির সাথে দিনাজপুরের নেতাকর্মীরাও একমত। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে যাবে। দিনাজপুরে পৌরসভা নির্বাচনের তৎপরতা বিএনপি’র পক্ষ থেকে এখনও শুরু হয়নি। যেহেতু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে রয়েছেন, সেহেতু নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত তিনি দেশে আসার পর হবে। আমরাও সেই অপেক্ষাতে রয়েছি। কেন্দ্র এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা নির্বাচন ও মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। তবে তৃণমুলে রয়েছে অনেক ক্ষোভ ও হতাশা। তারা বর্তান মেয়র বিএনপির নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গর আলমের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নয়।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1