সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ডিমলায় কারেন্ট পোকার আক্রমনে ফসল নষ্ট হলেও, কৃষি বিভাগকে পাশে পাচ্ছে না কৃষক

প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
নীলফামারী প্রতিনিধি সুজন: নীলফামারীর ডিমলায় আমন ক্ষেতে ব্যাপক ভাবে কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা গেলেও কৃষি বিভাগ কর্মকর্তাদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ করেন কৃষককেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চলতি আমন মৌসুমে ১৯হাজার ২৭৬ হেক্টর জমিতে চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারন করা হলেও চারা রোপন করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে। টানা বর্ষন ও বন্যার কারনে ৩ শ হেক্টর আমন ক্ষেত হষ্ট হয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডিমলায় অবস্থান না করার কারনে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠে থাকেন না। সপ্তাহের ২/৩দিন সকাল ১১টায় আসলে দুপুর ২টায় নীলফামারী চলে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। ডিমলায় ভাল বাসা না থাকার অভিযোগ তুলে উক্ত কর্মকর্তা নাকি নীলফামারী থেকে এসে অফিস করেন। আমনের ক্ষেতে কারেন্ট পোকা, পাতা শুকানো রোগের কারনে কয়েক শত হেক্টর জমির ধান নষ্ট হচ্ছে। সরেজমিনে সোমবার সকালে দক্ষিন তিতপাড়া আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন আমন ক্ষেতে দেখা যায়, পাতা হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে। কৃষক জানায় কারেন্ট পোকার কারনে ভিতরে অংশে শুকনো হয়ে গেছে। একাধিকবার কৃষি অফিসে খবর দেয়া হলেও কোন কর্মকর্তা ফসল দেখতে আসেনি। আব্দুল মজিদের পুত্র বেলাল হোসেন (৩০) জানায়, তার ৩ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করলে ধানের গাছ ভাল হলেও ২দিন থেকে ধানের গাছগুলো মরতে শুরু করেছে। উপসহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল কাফিকে সংবাদ দিলেও ফসল দেখতে আসেনি। ৩বিঘা জমির মধ্যে ২ বিঘা জমির ফসল ইতিমধ্যে নস্ট হয়েছে। unnamed (1) দক্ষিন তিতপাড়া গ্রামের পাথরকুড়ার বছির উদ্দিনের পুত্র আজিজুল হক (৪০), মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মালেকসহ অনেকে জানায়, আমন ক্ষেত কারেন্ট পোকার কারনে পুড়ে যাচ্ছে আর কৃষি বিভাগের লোকজন অফিসে বসেই আছেন। ডিমলার ১০টি ইউনিয়নের বর্তমানে ১৭জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। দুপুরে ডিমলা অফিসে গিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদসহ ৬জন অফিসে বসে খোশগল্প করতে দেখা গেলে। এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাফিকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি যানায় মাঠে মিটিং করতেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের সফরসূচীতে উক্ত কর্মকর্তা দক্ষিন তিতপাড়ার জয়নালের বাড়ীতে কীটনাশক বিষয়ক মতবিনিময় সভার কথা লেখা থাকলেও সেখানে গিয়ে উক্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাফি জানায় রাতে ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কৃষকদের অত্যাচারের সব সময় মাঠে থাকতে হয়। কোথায় গিয়ে দেখা পাওয়া যাবে বলার পরে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমাউন কবীর বলেন, আমি ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের কৃষকদের আমন ক্ষেত পরিদর্শন করতেছি। আব্দুল কাফি প্রসঙ্গে বলেন, কাজের অবহেলার কারনে তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। অফিসে দেখেন কাফি কোথায় আছে তা তালিকা দেয়া আছে। সেখানে গিয়ে তাকে না পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন বিষয়টি তদন্ত করা হবে। একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/১৩.১০.২০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1