একুশে সংবাদ : বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘দুর্গা পূজা’য় পাঁচ দিনব্যাপি অনুষ্ঠান হলেও সরকারি ছুটি মাত্র একদিন। এবার সেই ছুটিও ঠিক সময়ে পাচ্ছেন না তারা, ছুটি মিলেছে পুজার শেষে। হিন্দু নেতারা এই ‘অদৃশ্য কারণ’ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আর সরকারের এমন আচরণকে বৈষম্যমূলক হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন বিষেশজ্ঞরা। ‘দুর্গা পূজা’ উপলক্ষে ২৩ অক্টোবর সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। অথচ বিজয়া দশমীর দিন হচ্ছে ২২ অক্টোবর। প্রতি বছর দশমীর দিনে এ ছুটি নির্ধারিত হলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটল। কেন পূজার শেষে সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হলো এ সম্পর্কে জানেন না বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তী দে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে প্রিয়.কমকে বলেন, ‘সরকার ছুটির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবে বলে আমি আশা করি। আর ছুটি বিজয়ার দিনে না পেলে মানববন্ধনের পাশাপাশি আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এবার পুজার ‘অসামঞ্জস্য’ ছুটি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধন করা হয়েছে।’ বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘দুর্গা পূজার ছুটি আমরা তিন দিন করার প্রস্তাব দিয়েছি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে। এছাড়া ছুটির দিন ঠিক করেত ১৫ তারিখ পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছি।’ এই সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ্র চক্রবর্তী। এমন একটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন কেন করতে হবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, ‘অবহেলা আর বৈষম্যমূলক আচরেণের ফলেই ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এমনটা ঘটেছে।’ সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে বলে জানান তিনি। পঞ্জিকা মতে, এবার ১৯ অক্টোবর থেকে দূর্গা পূজা শুরু আর শেষ হচ্ছে ২২ অক্টোবর। সূত্র : প্রিয়.কম   একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/০৩.১০.২০১৫