সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উখিয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি মানিক: পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশে পেয়াজ ও দ্রব্যমূল্য সংকট নিরসনে সরকার পাশ^বর্তী দেশ মায়ানমার, পাকিস্তান ও ভারত থেকে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী আমদানী করলেও সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে পেয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, হলুদ সহ ইত্যাদি দ্রব্যাদি। সরকার সাধারণ জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল পবিত্র ঈদুল আযহার সময় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না, সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতায় আওতায় রাখা হবে। কিন্তু এখন বাজারের চিত্র পুরোটায় ভিন্ন। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনের রেখে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে অস্বভাবিক হারে। বাজারগুলো কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে সূত্রে নিশ্চিত করে। প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় কাঁচামরিচ ও পেয়াজের মূল্য দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। সরজমিন পরিদর্শনে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকায় কিন্তু প্রতি কেজি মায়ানমানের পেয়াজের মূল্য ৫০-৬০ টাকা, পাকিস্তানী পেয়াজের মূল্য ৬০-৭০ ও ভারতীয় পেয়াজের মূল্য ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। শুধু পেয়াজ নয় প্রতিটি পণ্য সামগ্রীর মূল্য পূর্বে চেয়ে তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলার ব্যস্ততম ষ্টেশন কোটবাজার, উখিয়া ধারোগা বাজার, মরিচ্যা বাজার, সোনার পাড়া বাজার, কুতুপালং বাজার, বালুখালী বাজার, থাইংখালী, পালংখালী সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় পেয়াজ সহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে তুলনামূলকভাবে। বাজারে ঢুকতেই আঁতকে উঠছেন সাধারণ ক্রেতারা। চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখাদিয়েছে দিনমজুর ও কেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। যেন সব কিছুর মূল্য সাধ্যের বাইরেই চলে যাচ্ছে। ঈদুল আযহার আমেজ যেন সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। ঈদুল আযহা আসতে না আসতেই ব্যবসায়ীরা সব কিছুর মূল্যবৃদ্ধি করেছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের কিছুই করার নাই, আমরা শহরের বাজার থেকে বেশি দামে কিনে সীমিত লাভে বাজারে বিক্রি করে যাচ্ছে। পেয়াজ, কাঁচামরিচ ও সবজির সরবরাহ কম থাকায় মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী স্বীকার করেন। জনবহুল ষ্টেশন কোটবাজার কাঁচাবাজারে আসা একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদকে জানান, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা যে ভাবে পেয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে ফেলেছে জানি না কোরবানের ঈদের খুশিটা মলিন হয়ে আমাদের মত সাধারণ জনগণের। বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৮০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০টাকা, শশা ৬০-৮০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, আলু ৩০-৪০ টাকা, মারমা ৩৫-৪৫ টাকা, কচুরলতি ৩৫-৪৫ টাকা, রসুন ৮০-৯০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে প্রত্যেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা ঈদুল আযহার বাজার করতে হতাশায় পড়েছে। প্রতিবছরই রমজানের শুরুতেই, ঈদুল আযহার বাজারেরর সময় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পণ্য সামগ্রী মজুদ রেখে ছড়া মূল্যে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতারা হয়রানি করে আসলেও কেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে দায়িত্বরতরা নিরব রয়েছে তা নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে যদি ছড়ামূল্য অব্যাহত থাকে তাহলে এ পবিত্র ঈদুল আযহায় অনেক সাধারণ জনগণ সুষ্ঠু ভাবে পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করতে পারবে না। তাই উপজেলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ঈদুল আযহার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত জরুরী বলে সচেতন মহলের দাবী। একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/২৩.০৯.২০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1