সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সাগরে ডাকাতি বেড়েই চলেছে, ৩ দিনে অপহৃত ৭৬ জেলে

প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, আগস্ট ২৮, ২০১৫
একুশে সংবাদঃ বঙ্গোবসাগরে জাল, মাছ ও রসদ সামগ্রীসহ জেলেদের অপহরণ, অমানষিক নির্যাতন, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশি সিমানায় ঢুকে মাছ শিকার, জেলেদের ওপর হামলা, লুটপাট এ যেন উপকুলীয় জেলেদের প্রতিদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। দু’এক বছর আগের জলডাকাতদের আচরণ আর এখনকার আচরণের পার্থক্যটা যেন একটু বেশিই নির্মম।   গত তিন দিনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, ভাণ্ডারিয়ার চরখালী ও বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার প্রায় ৭৬ জন জেলেকে অপহরণ করেছে ডাকাতেরা। ইতোমধ্যে অপহৃত এসব জেলে পরিবারের কাছে বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে মুক্তিপণও দাবিও করছে তারা।   ডাকাতদের হাত থেকে বেঁচে আসা জেলেদের দাবি, ডাকাতেরা নিজেদের রাজু বাহিনী বলে পরিচয় দিলেও আসলে তারা তা নয়। এটি পুরাতন বাহিনীর সদস্যের সমন্বয়ে নতুন কোনো বাহিনী হতে পারে।গত ২২ আগস্ট রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন কচিখালী পয়েন্টে জেলে বহরে হামলা চালিয়ে ছয় জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। অপহৃত জেলেরা হলেন- ছগির মিয়া, রফিক হাওলাদার, আ. খালেক, দুলাল, কালাম মীর ও ইউনুছ মিয়া। তাদের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায়।   পরদিন ২৩ আগস্ট সকালে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মুক্তিপণ দাবিতে ২০ জেলেকে অপহরণ করা হয়। পাথরঘাটা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পক্ষীদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবুও থেমে নেই ডাকাতেরা। পরদিন ২৪ আগস্ট আবারও বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে সশস্ত্র গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। পাথরঘাটা থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের ডুবো জাহাজ পয়েন্টে রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।   অপহৃত ট্রলারের মধ্যে এফবি বাবা-মায়ের দোয়া ট্রলারের মোস্তফা মাঝি, সোলায়মান, জামাল হোসেন, মিজান ও শানু মিয়া, এফবি মায়ের আর্শিবাদ ট্রলারের বশির মাঝি, এফবি বশির ট্রলারের মাঝি মাসুম মিয়া, এফবি পিমন ট্রলারের লাল চান মাঝি, এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের সোহরাব মাঝির নাম জানা গেছে।   নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা জানান, পূর্বে জেলেদের অপহরণের পরে তেমন নির্যাতন করা হতো না। কিন্তু এখন হায়েনা রুপি ডাকাতদের নির্যাতনের কথা শুনলেই যেন শরীর শিউরে ওঠে। এদেশে পাক বাহিনী যেমন নির্যাতন চালাতো, তারা ঠিক যেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক একটি পাক সদস্য। মুক্তিপণের টাকা না পেলে অপহৃত ওইসব জেলেদের ওপর চালানো হয় অমানষিক নির্যাতন। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অনেককে হত্যা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়।   এদিকে, বরাবরের মত এবারও কোস্টগার্ডের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, কোস্টগার্ড ইচ্ছে করলে কয়েকদিনের মধ্যে সমুদ্রে ডাকাত নির্মুল করা সম্ভব। কোস্টগার্ড ও ডাকাতদের জোগসাজসেই বার বার এই অপহরণের ঘটনা ঘটছে বলেও দাবি করেন তারা।   তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. এসএ রউফ বাংলামেইলকে জানান, পর পর কয়েকটি অপহরণের যে ঘটনা তা পশ্চিম জোনের আওতায় ঘটেছে। তাই তারা পশ্চিম জোনকে অভিযান চালিয়ে যেতে বলেছেন। ডাকাত দমনে তাদেরও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।   এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বেতাগী সার্কেল) আবদুর রব হাওলাদার জানান, তাদের টিম লোকালয়ে কাজ করছে। অভিযান চলাকালে পর পর তিন দিন ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এটিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক প্রকার চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে। তবে অভিযানের পাশাপাশি তারা অপহৃত জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টাও চালাচ্ছেন।     একুশে সংবাদ ডট কম/ আলম গীর হােসনে/ ২৯.০৮.২০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1