সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বার নির্বাচনে সরকার সমর্থকরা ১৪টির মধ্যে ১০টিতে বিজয়ী

প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, আগস্ট ২৮, ২০১৫
একুশে সংবাদঃ সারাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কাউন্সিলের ১৪টি পদের মধ্যে ১০টিতে বিজয়ী হয়েছেন সরকার সমর্থকরা। এর মধ্যে সাধারণ আসনে ৭টি পদের মধ্যে ৪টিতে এবং গ্রুপ আসনে ৭টির মধ্যে ৬টিতে সরকার সমর্থকরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৪টি পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।   রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বার কাউন্সিল নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সব কেন্দ্রের ফলাফল আসার পর আগামী সোমবার নাগাদ সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এদিকে বেসরাকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে দেখা যায়, সাধারণ আসনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্ব য় পরিষদের আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। তিনি সারাদেশের ৭৭টি কেন্দ্রে মোট ১৫ হাজার ২শ ৩৫টি ভোট পেয়েছেন। সাধারণ আসনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বিএনপি সমর্থক প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১শ ৩৮টি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন সরকার সমর্থক প্যানেলের অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩শ ৯৭টি। চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৪ হা জার ৩শ ৫৪টি। পঞ্চম সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ১শ ৮১টি। ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বিএনপি সমর্থক প্রার্থী এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ২শ একটি। এছাড়া সপ্তম সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন সরকার সমর্থক প্যানেলের অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ১শ ৯০টি। এদিকে গ্রুপ আসনে সাতটি পদের মধ্যে ৬টিতেই বিজয়ী হয়েছেন সরকার সমর্থকরা। এ-গ্রুপে বিজয়ী হয়েছেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বি-গ্রুপ থেকে এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, সি-গ্রুপ থেকে ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, ই-গ্রুপ থেকে পারভেজ আলম খান, এফ-গ্রুপ থেকে মো. ইয়াহিয়া ও জি-গ্রুপ থেকে মো. রেজাউল করিম। এছাড়া গ্রুপ আসনে ডি-গ্রুপ থেকে বিএনপি সমর্থক অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু বিজয়ী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার অপেক্ষার মধ্যে সাদা প্যানেল হিসেবে পরিচিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা আবদুল বাসেত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, বার কাউন্সিল আইনজীবীদের কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বার কাউন্সিল আইনজীবীদের কল্যাণ না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা এখানে পালন করছে। আইনজীবীরা এর পরিবর্তন চেয়েছে। সেই পরিবর্তনের স্রোতে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। ১৪টি পদের মধ্যে সাধারণ আসনে চারটি এবং গ্রুপের ছয়টি পেয়েছি। আর বিএনপি সমর্থক নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলন, এখনও ফলাফল হয়নি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইনি। তার অর্থ এই নয় যে আমি হেরে গেছি। তার অর্থ এই নয় যে এ জে মোহাম্মদ আলী হেরে গেছেন, তার অর্থ এই নয় যে মাহবুব উদ্দিন খোকন হেরে গেছেন। তার অর্থ এই নয় যে গণতন্ত্র হেরে গেছে। এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বলেমে যদি তারা নির্বাচিত হয়, সরকার বার কাউন্সিলের জন্য অনেক কল্যাণমূলক কাজ করবেন। তার ফলে আইনজীবীরা আশান্বিত হয়েছেন। এইভাবে একটা রঙিন স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছে। আমি আশাবাদী; তারা সেই রঙিন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলে আমি খুশি হব। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সারাদেশে ৭৭টি কেন্দ্রে এই ভোট চলে। এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪৩ হাজার ৩০২ জন। ৬১ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে ভোটে নির্বাচিত ১৪ জন আগামী তিন বছর বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে সাধারণ আসন থেকে ৭ জন এবং গ্রুপ আসন থেকে ৭ জন নির্বাচিত হবেন। আর পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।     একুশে সংবাদ ডট কম/ আলম গীর হােসনে/ ২৯.০৮.২০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1