সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মানবপাচার: ২৫ কিশোরকে হস্তান্তরের নির্দেশ আদালতের

প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, আগস্ট ২৬, ২০১৫
একুশে সংবাদ : পঞ্চম বারের মতো মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা ১২৫ বাংলাদেশির মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৫ জনকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জিম্মায় অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই ২৫ কিশোরকে হাজির করা হলে বিচারক অরুণ পাল এ আদেশ দেন। এছাড়াও ফেরত আনা অপর ১০০ জনের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়ার পর বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর। আইওএম কর্মকর্তা জানান, এর আগে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনাদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৭ জন থাকার কথা বলা হলেও কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহের পর ২৫ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন বাংলামেইলকে জানান, মিয়ানমার থেকে পঞ্চম দফায় ফেরত আনা ১২৫ জনের মধ্যে বুধবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৫ জনকে আদালতে নিয়ে আসে। আদালতে হাজির করা হলে রেড ক্রিসেন্টের জিম্মায় অভিভাবকদের কাছে তাদের হস্তান্তরের পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন বিচারক। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ২৫ কিশোরকে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৫ জনের মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২২ জন, বান্দরবান জেলার দুই জন ও ঢাকার এক জন রয়েছে। এরা হলো- ঢাকার যাত্রাবাড়ীর স্কুল গলি এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোহাম্মদ রবিন (১৬), বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা এলাকার নূর আহমদের ছেলে আমান উল্লাহ (১৭), লামা উপজেলার বিলছড়ি মাইজপাড়ার মনোয়ার হোসেনের ছেলে কাউছার আলম (১৬), কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ভালুকিয়া পালং তুলাতলি এলাকার মৃত আয়াজ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭), ভালুকিয়া পালং থিমছড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মামুনুর রশিদ (১৫), ভালুকিয়া পালং ফয়জাবাপের পাড়ার নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭), রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়ার আবুল কালামের ছেলে আবু ছৈয়দ (১৬), দক্ষিণ মিঠাছড়ির উমখালী এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে ইরফান মিয়া (১৫), দক্ষিণ মিঠাছড়ি পানেরছড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (১৭) টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ এলাকার শামশুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল (১৪), শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মোহাম্মদ নুরুচ্ছফার ছেলে শফিক আলম (১৫), টেকনাফ পৌর এলাকার নতুন পল্লান পাড়ার কলিম উল্লাহর ছেলে হাফিজুর রহমান (১৬), অলিয়াবাদ এলাকার হাজী মোক্তার আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৬), শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জিয়াবুল হাসান (১৩), শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মোহাম্মদ ইয়াছিনের ছেলে ফায়সাল মিয়া (১৬), সাবরাং মুণ্ডার ডেইল এলাকার মেহের হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলী (১৭), শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫), কক্সবাজার সদর উপজেলার লারপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে শফিউল করিম (১৪), চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের খামার পাড়ার মৃত নাজির আহমদের ছেলে জানে আলম (১৬), ভারুয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ করিম সিকদার পাড়ার জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ ফিরোজ (১৭), মহেশখালী উপজেলার পুটিবিলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মিজানুর রহমান (১৬), কুতুবজোম ইউনিয়নের লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়ার জমির আহমদের ছেলে মনির উদ্দিন (১৭), মহেশখালীর পুটিবিলা এলাকার আবু জাফরের ছেলে কায়সার হামিদ (১৫), চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া তেচ্ছাপাড়ার মাহবুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিনারুর রহমান (১৭) ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকার নুরুল কাদেরের ছেলে মিরাজ উদ্দিন (১৭)। কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ছত্রধর ত্রিপুরা বাংলামেইলকে জানান, মিয়ানমার থেকে ১২৫ জনকে ফেরত আনার পর কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে মঙ্গলবার রাতেই ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ করা হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এদের মধ্যে আপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৫ জনকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি তাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেবে। অপর ১শ’ জনকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করা হবে। পরে তাদের আইওএমের সহায়তায় নিজ নিজ জিন্মায় বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসী প্রত্যাশীদের মধ্যে পঞ্চম দফায় ১২৫ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ১২৫ জনকে নিয়ে ফেরত আনে। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, গত ৮ ও ১৯ জুন, ২২ জুলাই ও ১০ আগস্ট চার দফায় সনাক্ত হওয়া ৫০১ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। গত ২১ মে ২০৮ জন ও ২৯ মে ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীকে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ বাহিনী। পঞ্চম বারের মতো ১২৫ জনসহ ৬২৬ জনকে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনা হয়েছে।   একুশে সংবাদ ডটকম/এসএস/২৬.০৮.০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1