সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উত্তরা ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, আগস্ট ২৪, ২০১৫
একুশে সংবাদঃ যশোরে উত্তরা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। জমির প্রকৃত মালিকদের না জানিয়ে আড়াই কোটি টাকার সম্পত্তি মর্টগেজ রেখে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা ১৫ লাখ টাকার ঋণ দিয়েছেন। আর দি সিটি ব্যাংক যশোর শাখায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।   সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন শহরের পূর্ববারান্দী রোড লিচুতলা এলাকার ভুক্তভোগী এ কে এম আসাদুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শহরের বারান্দীপাড়া মৌজার এসএ খতিয়ান নম্বর ৫৯৫ ও ৫৯৬, এসএ ২২৯৩ দাগের জমির মালিক তার শ্বশুর মালেক মোহাম্মদ হাওলাদার ১৯৮৪ সালের ১৩ জুন ১০১৬৩ সাফ রেজিস্ট্রি দলিলে ১৮ দশমিক ৫০ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেন।   এরপর ১৯৯৬ সালে মালেক মোহাম্মদ হাওলাদার তার ওই জমি চার ছেলে মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে ওই জমির পিটদলিলটি হারিয়ে যায়। যশোর সদরের খাজুরা বাজার রোডের সেতু প্লাজার মেসার্স জেস টেলের প্রোপাইটার শাহ আলম সেই হারানো দলিল উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখায় উপস্থাপন করেন।   এরপর ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় নাম জারি আদেশ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ, আরএস চূড়ান্ত রেকর্ড পর্চা, তল্লাসিপত্র, বন্ধকী জমির অবস্থান দখল স্বত্ত্ব নির্ণয়, চৌহদ্দি, ইমারত নির্মাণ, বন্ধকী জমির ছবি, টিপসহি ইত্যাদি জালিয়াতি করেন এবং ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি ১৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জমির মালিক মালেক মোহাম্মদ হাওলাদারের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন মালিক মালেক মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলেমেয়েদের বিষয়টি নজরে আসে। এতে আরা হতবাক হন।   এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক সাহ আলম বলেন, জমির মূল দলিল পত্র ব্যাংকে রক্ষিত আছে। জমির মালিক মর্টগেজ রেখে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন ঋণ নেয়নি। এ নিয়ে তারা আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতই সিদ্ধান্ত দিবেন।   অপরদিকে, দি সিটি ব্যাংকের বিরুদ্ধেও ভুক্তভোগীরা সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাংকে তারা সাড়ে ৮ লাখ টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিলেও সেই টাকা জমা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এঘটনাটি তারা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। এনিয়ে তদন্ত হলেও প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। সংবাদ সম্মেলনে মালেক মোহাম্মদ হাওলাদারের জামাতা (মেয়ের স্বামী) একেএম আসাদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।     একুশে সংবাদ ডট কম/আলম গীর হােসনে/ ২৪.০৮.২০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1